গরু পাচার মামলায় বেকায়দায় অনুব্রত মণ্ডল। নেতাকে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধা নেই ইডির। কুন্তলকে জেরা করে ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পেল ইডি। ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ কুন্তলের। সুপ্রিম কোর্টেও বহাল চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত। চাকরি ফিরল না গ্রুপ ডি-র ১৯১১ কর্মীর। তবে শূন্যপদে নতুন নিয়োগ নয় এখনই, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। অ্যাডিনো-নিউমোনিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার বাংলা। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু আরও ৩ শিশুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ৩ রাজ্যের ভোট মিটতেই লাফিয়ে বাড়ল গ্যাসের দাম, কেন্দ্রকে তোপ বিরোধীদের
বিস্তারিত খবর:
1. গরু পাচার মামলায় স্বস্তি মিলল না বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার ক্ষেত্রে কোনও রক্ষাকবচ দিল না দিল্লি হাই কোর্ট। আদলতে অনুব্রত মন্দলের আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হয় যে নেতার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি সত্ত্বেও তাঁকে কেন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তা নিয়ে যুক্তিযুক্ত কোনও জবাব দিতে পারেননি আইনজীবী। দিল্লি হাই কোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি আনা হবে না বলে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন ইডি আইনজীবী। কিন্তু বিষয়টি রেকর্ডে না থাকায় অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি মানতে চাননি বিচারপতি। একইসঙ্গে শুক্রবার দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী। কিন্তু এদিন সেই মামলার শুনানি হয়নি আদালতে। শনিবার বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে শুনানির সুপারিশ করেছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ফলে এর মধ্যে বিশেষ কোনও কারণ না ঘটলে এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই ইডির। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিজেপিকে ফের তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
2. শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের নয়া তথ্যের হদিশ। শুক্রবার হুগলির ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগের জন্য বিপুল পরিমাণে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কুন্তলের মাধ্যমে। ইডির আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্তত ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তাতে কুন্তলের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য জানা গিয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। এজেন্টদের বয়ান অনুযায়ী, ২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল। আর এই টাকা পৌঁছেছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ইডির আরও দাবি, বিএড, ডি.এল.এড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর প্রভাবকে কাজে লাগানো হয়েছিল। শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য নয়, টাকা তোলা হয়েছে আপার প্রাইমারি ও নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেও। এদিকে কুন্তল ঘোষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্ক্রুটিনি করে সোমা চক্রবর্তী নামে এক মহিলার নাম সামনে এসেছে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে কুন্তল গ্রেপ্তারির আগে পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ওই মহিলাকে জেরা করেছে ইডি। এদিনের সওয়াল জবাব শেষে ধৃত যুবনেতাকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।