মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটি। নতুন করে আবেদনের নির্দেশ রাজ্যপালকে। মামলায় জুড়ল কুণাল, সায়ন্তিকা, রেয়াতের নাম। চোপড়া থেকে সন্দেশখালি, বাংলার ‘নারী নির্যাতন’ নিয়ে সংসদে সরব প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হতে পারে হাথরাস কাণ্ড। সৎসঙ্গে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় আশঙ্কা যোগীর। প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে গড়া হল তদন্ত কমিটি। বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন এবার দেশে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় পেরিয়ে ঘরের পথে টিম ইন্ডিয়া। দিল্লি ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাতরাশ রোহিত-বিরাটদের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের দায়ের করা মানহানি মামলায় রয়েছে পদ্ধতিগত ত্রুটি। সে কারণেই বুধবার মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে। পুনরায় মামলা দাখিল করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। বৃহস্পতিবার হবে ওই মামলার শুনানি।
বিচারপতি রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যে সমস্ত সংবাদপত্রের বা সংবাদমাধ্যমের খবরকে ভিত্তি করে মামলা করেছেন রাজ্যপাল, তাদের এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে কি না? তা করা হয়নি বলেই পিছোল শুনানি। সব সংবাদমাধ্যমকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে মামলায় নাম জুড়ল দ্য জয়ী দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষেরও। বৃহস্পতিবার তিনজন ক্যাভিয়েট দাখিল করছেন বলেই শোনা গিয়েছে। শপথ জট কাটার আগেই নয়া বিতর্ক উসকে উঠল রাজ্যে।
2. সন্দেশখালি কাণ্ড থেকে চোপড়া গণপিটুনি প্রসঙ্গ, বাংলায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে সংসদে সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নারী নির্যাতন নিয়ে বিরোধীরা বেছে বেছে মুখ খোলেন, অভিযোগ তাঁর। একইসঙ্গে মণিপুর ইস্যুতে শেষমেশ মুখ খুললেন তিনি। বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। হিংসার ঘটনা প্রতিনিয়ত কমছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির অধিকাংশ জায়গায় শান্তি ফিরেছে।” মণিপুরের হিংসার নেপথ্যে উসকানিদাতাদের সতর্ক করার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এদিন নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস আমলেও মণিপুরে ১০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল, কটাক্ষ মোদির।
যদিও রাজ্যসভায় এদিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতেই প্রবল হট্টগোল শুরু করে বিরোধী শিবির। লোকসভার জবাবি ভাষণে নানা অছিলায় রাহুলকে বেঁধার পর এদিন রাজ্যসভায় সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেন মোদি। ১০ বছর কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার চলাকালীন ইউপিএ’র চেয়ারপার্সন ও ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটির শীর্ষপদে ছিলেন সোনিয়া। বিজেপির অভিযোগ, ওই সময় প্রধানমন্ত্রী পদে মনমোহন সিং থাকলেও বকলমে সরকার চালাতেন সোনিয়াই। দীর্ঘদিন বাদে সংসদে সেই পুরনো ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন মোদি। মোদির বক্তব্যের মধ্যেই জবাব দিতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় সেই অনুমতি না দিলে স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।