প্রাথমিক নিয়োগে বড় রায় হাই কোর্টের। ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল। পর্ষদকে ডেডলাইন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ বাতিল কেন? লোকসভার সচিবালয়ের কাছে ব্যাখ্যা তলব সুপ্রিম কোর্টের। হিন্ডেনবার্গ মামলায় কার্যত স্বস্তিতে আদানি। SEBI-র তদন্তেই ভরসা, সিট গঠনের দাবি ওড়াল সুপ্রিম কোর্ট। ৫২ সপ্তাহের রেকর্ড ভেঙে চাঙ্গা সংস্থার শেয়ার। লাগাতার ব্যর্থতার জেরে বিদায় ফেরান্দোর। সবুজ-মেরুনের নতুন কোচ হাবাস, সুপার কাপ থেকেই সামলাবেন দায়িত্ব।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
২০১৬ সালে ২০১৪-র টেট-উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল ৪২,৯৪৯ জনকে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ২০২২ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী। এই নিয়ে নির্দেশ, পালটা নির্দেশের মধ্যেই টেট উত্তীর্ণদের প্যানেল প্রকাশের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে পৃথক মামলা করেন মৌটুসি রায়-সহ কয়েক জন চাকরীপ্রার্থী। মৌটুসিদের দাবি ছিল, তাঁরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু মেধাতালিকা স্পষ্ট না হওয়ায়, নিয়োগ পাননি। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন, ৪২,৯৪৯ চাকরি প্রাপকের ওই প্যানেল আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্যানেল আগেই আদালতের নির্দেশে প্রকাশ করেছে। পর্ষদের ওই বক্তব্যের পরে ‘প্রকাশিত’ প্যানেলের ‘হার্ড এবং সফ্ট কপি’ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
2. মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ বাতিল কেন? তৃণমূল নেত্রীর দায়ের করা মামলার জেরে এবার লোকসভার সচিবালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ৩ সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছে সচিবালয়কে।
লোকসভায় টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূলের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, সংসদের কার্যপ্রণালী স্পিকারের অধীনস্থ। তাতে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সওয়াল জবাব শেষে সংসদের সচিবালয়-সহ সব পক্ষকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবে সেই জবাব না আসা পর্যন্ত সংসদের কার্যপ্রণালীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি মিলল না মহুয়ার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।