শীতকালীন অধিবেশনেও বাংলাদেশ ইস্যু। শান্তিরক্ষা বাহিনী চান সুদীপ, অনুপ্রবেশ-তোপ বিজেপির। পিছোল জামিনের শুনানি, আরও একমাস জেলেই চিন্ময় কৃষ্ণ। মেডিক্যালে ভর্তিতে দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি ইডির। রদবদল রোগীকল্যাণ সমিতিতে। অবশেষে মহারাষ্ট্রের ‘মহাজট’ কাটার ইঙ্গিত। বিজেপির ফর্মুলা মেনেই উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি শিণ্ডে। অস্কার দৌড়ে শামিল ইমনের বাংলা গান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন:
2 ডিসেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব’, পরিষদীয় বৈঠকে বার্তা মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও এবার উঠল বাংলাদেশ ইস্যু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন অনুযায়ীই এদিন শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানালেন লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। অন্যদিকে বাংলায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে খোঁচা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও শমীক ভট্টাচার্যের। রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বিজেপির অভিযোগ, অনুপ্রবেশের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী সরকারের খুব সক্রিয় ভূমিকা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বিদেশমন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও কড়া বার্তাও পৌঁছয়নি ঢাকার কাছে। এই পরিস্থিতিতে অধিবেশনে বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সরব তৃণমূল।
এদিকে হিন্দু নিপীড়নের লাগাতার খবরের মধ্যেই মঙ্গলবার ঢাকায় তলব করা হল ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি দূতাবাসে যে হামলা হয়েছে, তারই জেরে তাঁকে ডাকা হয়। যদিও এই হামলার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, বিবৃতি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রকও। তবে সেই হামলাকে হাতিয়ার করেই পালটা ভারতের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে ইউনুস সরকার, মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
2. হামলার ভয়ে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানি থেকে পিছু হটলেন আইনজীবীরা। ফলে পিছিয়ে গেল জামিন মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ২ জানুয়ারি। অতএব এখনও একমাস কারাগারেই থাকতে হবে চিন্ময় প্রভুকে। ইসকনের গ্রেপ্তার হওয়া সন্ন্যাসীর হয়ে সওয়ালে রাজি হয়েছিলেন প্রায় ৫১ জন আইনজীবী। কিন্তু ইসকন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মৌলবাদীদের হামলার জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি একজন। বাকিরাও সকলেই কোনও না কোনও ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় একজন বন্দির মানবাধিকার লঙ্ঘিত হল বলেই মনে করছেন সমাজকর্মীরা।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা সন্ন্যাসীদের আত্মরক্ষার্থে গেরুয়া বসন পরা বা কপালে তিলক কাটা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিল কলকাতার ইসকন। এদিকে সীমান্তের ওপারে হিন্দু নিগ্রহের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় সনাতনী-সভা, জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা সরকারি কর্মীদের উপর কোনওরকম হামলার ঘটনা ঘটলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, শর্ত হাই কোর্টের বিচারপতির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।