মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে গেরুয়া ঝড়। তেলেঙ্গানা হাতে পেয়ে সান্ত্বনা পুরস্কার কংগ্রেসের। সুশাসন, উন্নয়নেই ভরসা মানুষের, প্রতিক্রিয়া নরেন্দ্র মোদির। ‘হ্যটট্রিকের জয় চব্বিশের গ্যারান্টি’, বিজয়-ভাষণে লোকসভার সুর বাঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। গেরুয়া ঝড়ের প্রভাব পড়বে না বাংলায়। বিজেপির সাফল্য নয়, হার কংগ্রেসের, সাফ জানালেন কুণাল। ৬ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক, ডাক খাড়গের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 1 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- লোকসভা ভোটের আগে ফের ‘দুয়ারে সরকার’, জানুয়ারিতেই মিলবে পরিষেবা
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভার আগে সেমিফাইনালে বাজিমাত বিজেপির। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান- তিন রাজ্যেই উঠল গেরুয়া ঝড়। চার রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করে ছিল জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ। ফলাফলে দেখা গেল কংগ্রেসকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েই বড় জয় হাসিল করল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান- ছত্তিশগড়ে কার্যত নিশ্চিত বিজেপির জয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির দখলে ১৬১ আসন, কংগ্রেসের খাতায় ৬৬। রাজস্থানে বিজেপি পেয়েছে ১১২ আসন, কংগ্রেস ৭১। ছত্তিশগড়ে বিজেপি ৫৫, কংগ্রেস পেয়েছে ৩২ আসন। ফলাফলে স্পষ্ট যে, মোদির গ্যারান্টিতেই অটুট বিশ্বাস তিন রাজ্যের জনতার। অথচ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দারুণ ভাবে জেগে উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানিয়েছিল, বিজেপির জয় হাসিল সহজ হবে না। যদিও সম্মুখ সমরে গোবলয়ের তিন রাজ্যেই হার মানতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। প্রায় সান্ত্বনা পুরস্কারের মতোই কংগ্রেসের হাতে এসেছে শুধু তেলেঙ্গানা। সে-রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল জানাচ্ছে কংগ্রেস পেয়েছে ৬৩ আসন, বিআরএস ৬১, বিজেপি ৮, এআইএমআইএম-এর দখলে আছে ৬ আসন। স্বভাবতই এই জয়ের পর বিপুল উচ্ছ্বাস দেখা যায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তিন রাজ্যে ছিল আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ। তা খুব সফল ভাবেই অতিক্রম করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বই যে মোড় ঘুরিয়েছে, এমনটাই মত তাবড় বিজেপি নেতাদের। তুষ্টিকরণ ও ভেদাভদের রাজনীতির বিপক্ষেই রায় দিয়েছে মানুষ, মত অমিত শাহের। তিন রাজ্যের জনতাকে প্রমাণ জানিয়েছেন তিনি। মানুষ কেবল সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতেই ভরসা করে বলেই, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ব্র্যান্ড মোদি-তে যে জনতার বিশ্বাস অটুট, এই ফলাফল তাই-ই প্রমাণ করছে। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
2. তিন রাজ্যের ভোটে বিপুল জয়, চব্বিশে বিজেপির জয়ের গ্যারান্টি দিয়ে দিল। বিজয়-ভাষণে এমনই প্রত্যয়ী কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। বিজেপির জয় শুধু দলীয় জয় নয়, বরং দেশের গরিব মানুষ, নারী, যুব- প্রত্যেকেরই। বিজয়-ভাষণে এভাবেই রাজনৈতিক জয়কে মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাফ জানালেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে বিজেপি-ই মানুষের জন্য কাজ করে। নয়া ভারতের রূপরেখা তুলে ধরে চার জাতির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তা হল, নারীশক্তি, যুবশক্তি, কৃষক এবং গরিব বা দরিদ্র। এই চার জাতিই দেশের শক্তি। দেশের নারীশক্তি যে পূর্ণভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছে এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীতেও নারীশক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে বিজেপি, প্রতিশ্রুতি তাঁর। নির্বাচনী প্রচারে যে মোদি গ্যারান্টির কথা টেনেছিলেন তিনি, এদিনও তাঁর মুখে শোনা গেল সেই কথা। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি যা বলছেন তা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়। তা যে পূরণ হবে সে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। যে ‘মোদি গ্যারান্টি’তে ভরসা রেখেছেন তিন রাজ্যের মানুষ। তিনি বলেন,দেশের যুবশক্তি শুধু উন্নয়নই চায়। আর তাই যেখানে সরকার যুবকদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, সেখানে মানুষ সেই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কংগ্রেসের নীতির জন্য দশকের পর দশক বঞ্চিত ছিল আদিবাসীরা বলে দাবি মোদির। তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের কাজ করবে বিজেপি। সেবা ও সুশাসনের নতুন মডেল দেশের সামনে তুলে ধরেছে বিজেপি বলেই এই জয়কে ব্যাখ্যা করেন তিনি। দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ এই জয়ে কংগ্রেসকে বড় শিক্ষা দিল বলেই দাবি করেন তিনি। বিজয়-ভাষণ থেকেই মোটের উপর লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।