তীব্র হেনস্তা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ছাত্রনেতা। নাটকীয় পালাবদলে এখনই গদি হারাচ্ছেন না পাক প্রধানমন্ত্রী। খারিজ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে উত্তপ্ত রাজস্থান। বগটুই থেকে ফের উদ্ধার বোমা। নতুন করে উত্তেজনা গ্রামে। অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যু ঘটনায় বাজেয়াপ্ত টোটো ও বাইকের ফরেনসিক সিবিআই-এর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি ভারতের, সম্ভাবনা ১০ লক্ষ চাকরির
আরও শুনুন: 1 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজভবনে চিকিৎসা অসুস্থ রাজ্যপালের, ফোনে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত খবর:
1. আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে তীব্র হেনস্তা ছাত্রনেতার। শুধু গালিগালাজ নয়, উপাচার্যকে চড় মারার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত ছাত্রনেতা। অভিযোগের তির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে। যদিও দলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত নেতা দলীয় কর্মী নন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তারপরই অভিযুক্ত নেতা গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। কিন্তু কী নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্য মুহাম্মদ আলি বলেন, “সাহায্য চেয়ে পুলিশকে ফোন করি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি।” এদিকে প্রাক্তন ছাত্রনেতার অভিযোগ, “উপাচার্য কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এদিনে সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম।” গিয়াসউদ্দিনকে দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, বহিরাগত কিছু লোকজন এই কাজ করেছে। একই মত রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষেরও। এই ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সমাজের সর্বস্তরেই ওঠে তীব্র নিন্দার ঝড়। এরপরই অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।
2. পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। এখনই গদি হারাচ্ছেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার পাক সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল। দেখা যায় বিরোধীরা ইমরানের আগে সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এর পরেই ইমরানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব (No Trust Motion) আনা হয়। সেই সময় সংসদে ইমরানের দলের মাত্র ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। হার প্রায় নিশ্চিত। হাজির ছিলেন না ইমরানও। ঠিক যখন পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায় প্রায়। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবই খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। তার পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। সেখানে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। একইসঙ্গে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সুপারিশ মেনে নেন রাষ্ট্রপতি। ইমরানের সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। তবে এই নাটকীয় পট পরিবর্তনের জেরে নিজের কুরশি বাঁচালেন ইমরান খান। আপাতত দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।