এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মামলা। মেধাতালিকায় নাম না থাকলেও কীভাবে চাকরি? কমিশনের কাছে হলফনামা তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় বিস্ফোরক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুরো প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি। অবিবাহিত হলেও গর্ভপাতের অধিকারী দেশের যে কোনও মহিলা। ‘বৈবাহিক ধর্ষণে’র কারণেও হতে পারে গর্ভপাত। চোটের জন্য টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন জশপ্রীত বুমরাহ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 সেপ্টেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, হাই কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের
বিস্তারিত খবর:
1. এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের অঙ্কিতা অধিকারী বনাম ববিতা সরকারের মামলার ছায়া। হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা লিপিকা মণ্ডল জানিয়েছেন, র্যাঙ্ক কার্ড অনুযায়ী ওয়েটিং লিস্টের ৩০ নম্বর প্রার্থী ছিলেন লিপিকা। অথচ মেধাতালিকায় ওয়েটিং লিস্টে ৩১ নম্বরে নাম ছিল তাঁর। ওয়েটিং লিস্টের ২ নম্বরে নাম ছিল প্রবীণ মণ্ডলের। এদিকে আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি একাদশ-দ্বাদশের নম্বর বিভাজন সমেত পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। তাতে দেখা গিয়েছে, মেধা তালিকায় আদৌ নাম ছিল না ওই ব্যক্তির। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা ৩০ জন প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল বলে দাবি লিপিকা মণ্ডলের। কিন্তু মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চাকরি পেয়েছেন ওই ব্যক্তি, প্রশ্ন তুলে এবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করলেন লিপিকা। এই মামলার শুনানিতে এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে হলফনামা।
এদিকে ববিতা সরকারের পর এবার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে চাকরি পেলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রিয়াঙ্কাকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে। তার আগে ১১ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে কাউন্সেলিং সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
2. গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার জেরে এবার অস্বস্তি আরও বাড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এসএসসি মামলায় সিবিআই-এর জমা দেওয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “ভয়ংকর পরিসংখ্যান। এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র।” এই অবস্থার জেরে ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলবে বলেও মনে করছেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি আরও বলেন, “আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আমিও তাতে শামিল।” আগামী ১৮ নভেম্বর সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। ওইদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।