সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশকে কর্তব্য মনে করাল ভারত। সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর সুবিচারের আশায় বিদেশমন্ত্রক। আদালতে গৃহীত হল না আর জি কর দুর্নীতি মামলার চার্জশিট। ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, থাকছে না বাংলাদেশ। ক্যামেরার সামনে পরীক্ষায় বসতে হবে ডাক্তারি পড়ূয়াদের। পঞ্চম দিনও মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 নভেম্বর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা, কেন্দ্রের পাশেই মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি আরও জানান, যেভাবে বাংলাদেশে চরমপন্থী ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ছে, ভারত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ সরকার যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করে, সেই বার্তাও দেন জয়সওয়াল।
ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। দিকে দিকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হিন্দুরা। এই নিয়ে আগেও বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্র। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রণধীর বলেন, “আশা করি প্রত্যেককে যথাযথ সম্মান দিয়ে বিচার করা হবে। স্বচ্ছ পদ্ধতিতে বিচার হবে।” এদিকে, বাংলাদেশ ইসকনকে ‘ভাতে মারা’র ছক মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের। জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ইসকনের সঙ্গে যুক্ত ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ মাস তাঁরা কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। এই আবহে গ্রেপ্তার হলেন চিন্ময় প্রভুর দুই হিন্দু শিষ্য। জেলে তাঁকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পরই ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে সন্ন্যাসী গ্রেপ্তার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল বাংলাদেশ।
2. আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার আলিপুর আদালতে সন্দীপ ঘোষ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। তবে তা গৃহীত হয়নি। জানা গিয়েছে, সরকারি অনুমোদন না মেলায় আদালত এই চার্জশিট গ্রহণ করেনি। আর্থিক দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ সরকারি কর্মচারী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আশিস পাণ্ডেও সরকারি চিকিৎসক। তাই দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের আগে দরকার সরকারি অনুমোদন। সেই ছাড়পত্র না নিয়েই আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে তা জমা হলেও গৃহীত হল না। ধৃতদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে টেন্ডার দুর্নীতি, মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে আর্থিক অনিয়ম, হাসপাতালের মর্গেও একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের পর পাঁচজন অভিযুক্ত ও তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তবে তা গ্রহণ করা হয়নি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।