বঞ্চিতদের টাকা দিচ্ছেন কীভাবে, বকেয়া ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে অভিষেক। বিধানসভা থেকে জবাব মমতার। জ্যোতিপ্রিয়র অনুপস্থিতিতে কোর কমিটি গঠন নেত্রীর। বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়বে বিজেপি, ছাব্বিশে বদলের ডাক শাহের। বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষে জোর সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর। সুযোগ পেলে ফের টাকা বাড়াবেন, হুংকার মমতার। ডিএ নিয়ে কড়া বার্তা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন ৮০ কোটি দেশবাসীকে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সিলমোহর মন্ত্রিসভার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. কেন্দ্র ১০০ দিনের বকেয়া না মেটালেও, নিজের প্রতিশ্রুতিমতোই বঞ্চিতদের টাকা পাঠাতে শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই টাকার উৎস কী? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বুধবার বিধানসভা থেকে তার জবাব দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, “আমার দলের প্রত্যেক সাংসদ এক লক্ষ করে টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে যে তিনহাজার মানুষ গিয়েছিলেন অভিষেকের সঙ্গে, তাঁদের বকেয়া টাকা মেটানো হচ্ছে।” বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল সাংসদরাই, প্রশ্নের মুখে সাফ জানিয়ে দিলেন নেত্রী।
এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অনুপস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনের দিকে নজর দিলেন মমতা। ৩৩টি বিধানসভায় কোথায় কী সমস্যা আছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য এবার আট সদস্যের কোর কমিটি গড়ে দিলেন নেত্রী। সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ১৫ দিন অন্তর বৈঠকে বসবেন কমিটির সদস্যরা, নির্দেশ মমতার।
2. শহরে এসে ফের রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধর্মতলার সমাবেশ থেকে দাবি করলেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে উৎখাত করে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সরকার বদলের হুংকারের মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে লোকসভার জন্যও টার্গেট বেঁধে দিয়ে শাহ বললেন, “২০২৪-এ বাংলা থেকে এত আসন আপনারা মোদিজিকে দিন, যাতে উনি বলতে বাধ্য হন যে আমি বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছি।” লোকসভা ভোটের ডঙ্কা বাজিয়ে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র স্মৃতি উসকে দিলেন তিনি। তুলে আনলেন ‘গোপাল পাঁঠা’র নামও। লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ভালো ফল করার লক্ষ্যেই কি মেরুকরণে শান দিলেন অমিত শাহ, প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।
যদিও অনুপ্রবেশ এবং সিএএ ইস্যু নিয়েও এদিন ফের সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, পাশের রাজ্য অসম যেখানে অনুপ্রবেশ কার্যত শূন্য করে ফেলেছে, সেখানে বাংলার সরকার অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছে। এমনকী, কাটমানির বদলে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও বিলি করা হচ্ছে। আর এই প্রেক্ষিতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কথাও উঠে এল তাঁর মুখে। CAA অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন গোটা দেশের আইন, ফলে বাংলায় তৃণমূল সরকার এই আইন রুখতে পারবে না বলে কার্যত মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শাহ। একইসঙ্গে দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের কেন সাসপেন্ড করেনি তৃণমূল, সেই প্রসঙ্গ তুলেও আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত শাহ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।