অভিষেকের সভায় তৃণমূলে যোগ বায়রন বিশ্বাসের। কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’ পার্থই। আদালতে বিস্ফোরক দাবি তুলে জামিনের আর্জি অর্পিতার আইনজীবীর। দিল্লিতে কুস্তিগিরদের হেনস্তার জের। প্রতিবাদে রাজভবন অভিযানে এসইউসিআই। ২০০০-এর নোট বদলে লাগবে না পরিচয়পত্র। কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের দিল্লি পুলিশের।ফের চোটের কবলে নীরজ চোপড়া।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 মে 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- সমারোহে উদ্বোধন সংসদ ভবনের, মাটিতে পড়ে রইলেন মহিলা কুস্তিগিররা
বিস্তারিত খবর:
1. বিরোধীদের সাগরদিঘি মডেলে বড় ধাক্কা। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ক্যাম্পে কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক। মার্চের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হন কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। এর তিন মাসের মধ্যেই হাত ছেড়ে ‘জোড়াফুলে’ এলেন তিনি। এদিন দলবদল প্রসঙ্গে বায়রন জানিয়েছেন, “রাজ্যের উন্নয়নে শামিল হতে, নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্যই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।” এছাড়া সাগরদিঘির বিধায়ক এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগ রাখছিলেন তিনি। একাধিকবার যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে তা সম্ভব হল। তাঁর কথায় সায় দিয়েছেন অভিষেকও। তবে এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিরোধীদের চূড়ান্ত কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, “বিরোধীদের সাগরদিঘি মডেল ব্যর্থ। তৃণমূলের নিজের কিছু ভুলে সাগরদিঘিতে হার হয়েছিল। এতে বিরোধীদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু ছিল না। কংগ্রেসের জয়ের পর যারা আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন তাঁরা এবার শোকসভা করুন। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বায়রন তৃণমূলে যোগ দিলেন।” যদিও এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, বায়রনকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
2. নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি অর্পিতার আইনজীবীর। দুর্নীতির কিংপিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই। এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না অর্পিতা। সোমবার আদালতে এমনই দাবি তুলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। তাঁর মতে, “মাস্টারমাইন্ড কে সেটা আসলে দেখতে হবে। অর্পিতা পরিস্থিতির শিকার।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, অর্পিতার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোটাই ভিত্তিহীন। এছাড়া গ্রেপ্তারির আগে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়নি বলেও অভিযোগ। এদিন আরও একবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে ও জামাইয়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন অর্পিতার আইনজীবী। উঠে আসে একটি সংস্থার নামও। তবে সব কিছুর নেপথ্যেই ছিলেন পার্থ। আদালতে অর্পিতার আইনজীবী সাফ জানিয়েছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের মাথা খাটিয়ে সবাইকে কাজ করাতেন। পুরো গেম প্ল্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।” এরপরই নিজের মক্কেলের জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। যার তীব্র বিরোধিতায় সরব হন ইডি’র আইনজীবী। তাঁরও সাফ যুক্তি, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা গয়না পাওয়া গিয়েছে। তাই এর দায় ওঁকে নিতে হবে। তাঁর মতে, “এতে যদি অর্পিতার ভূমিকা না থাকে, তাহলে ফ্ল্যাটের চাবি কাউকে টাকা রাখার জন্য দিতেন না।” একইসঙ্গে তদন্তকারীর তরফে অভিযোগ, এইসব তথ্য অর্পিতা নিজে তাঁদের জানাননি। তাঁরা তদন্ত করে জেনেছেন। ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাই অর্পিতাও সমানভাবে দায়ী এই কাণ্ডে। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী। আগামী বুধবার জামিন মামলার রায় দেবে আদালত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।