এসএসসি মেধাতালিকার প্রত্যেককে চাকরির আশ্বাস অভিষেকের। পদ খুইয়ে মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে শূন্যপদের তালিকা পেশ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের। ইডির নজরে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম ম্যাচে জয়ী অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটে হারলেও সাফল্য পেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 জুলাই 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার বিপুল অঙ্কের টাকা
বিস্তারিত খবর:
1. ২০১৬ সালে এসএসসি মেধাতালিকায় থাকা প্রত্যেকে চাকরি পাবে, আশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন এসএসসি আন্দোলনের অন্যতম মুখ শাহিদুল্লা। এদিকে, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণরাও এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে জড়ো হন। জমায়েতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের। কিছুক্ষণ পরই প্রাইমারি টেট আন্দোলনকারীদের দুই প্রতিনিধিকে অফিসে ডেকে পাঠান অভিষেক।
এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে এসএসসি আন্দোলনকারীদের আট প্রতিনিধি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈঠক। এদিকে আগামী ৮ আগস্ট বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করবেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকে এসএসসি চেয়ারম্যানেরও উপস্থিত থাকার কথা। আন্দোলন এখনও চলবে কি না, সে বিষয়ে যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তেমন কোনও কথা হয়নি বলেই জানান শহিদুল্লা।
2. মন্ত্রিত্ব-সহ তৃণমূলের সমস্ত পদ খোয়ানোর পর এই প্রথম নীরবতা ভাঙলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। শুধু তাই নয়, পার্থ সাফ জানালেন, ”যারা ষড়যন্ত্র করেছে, জানতে পারবেন।” তৃণমূল সরকার তাঁকে সমস্ত পদ থেকে সরানোর পরই পার্থর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন শারীরিক পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা গাড়িতে ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পার্থ বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত সঠিক কি না, তা সময় বলবে।” যদিও মন্ত্রিত্ব ও দলের অন্যান্য পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথায় তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জির সিদ্ধান্ত ঠিক।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “এই কথাটা বলতে ছ’দিন সময় কেন লাগল? উনি এতদিন কেন কিছু বললেন না? এবার কিছু বললে তা আইনি পথে বলতে হবে।”
এদিকে, হাসপাতালের সামনে পৌঁছেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নামতেও চাইছিলেন না তিনি। তিনি যে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন, সব মিলিয়ে এই ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে উঠল এদিন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।