গ্রেপ্তারির পরই শাহজাহানকে সাসপেন্ড তৃণমূলের। তাঁর নির্দেশেই ইডির উপর হামলা। সিআইডি হেফাজতে স্বীকারোক্তি সন্দেশখালির ত্রাসের। লোকসভার আগে অর্থনীতিতে বড় সুখবর। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়াল ৮.৪ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে কৌস্তভ বাগচী। লোকসভায় টিকিট পাওয়া নিয়ে জল্পনা। মার্চে টানা ৩ দিন বাস ধর্মঘট।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ পুলিশি হেফাজতে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। গ্রেপ্তারির পরেই শাহজাহানকে আগামী ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। আগামী ১০ দিন ভবানীভবনেই রাখা হবে তাঁকে। তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। গ্রেপ্তারির পরই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শাহজাহানের আইনজীবী। কিন্তু তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করে মামলা ফিরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। শাহজাহানের গ্রেপ্তারিতে কার্যত উৎসবের আমেজ সন্দেশখালিতে।
ইডি হামলার ৫৫ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে ফেরার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশি জেরায় খোদ শাহজাহান স্বীকার করেছেন, তাঁর নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি মারধর করা হয় ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। গ্রেপ্তারি এড়াতেই হামলা করা হয়েছিল বলে দাবি শাহজাহানের। যদিও শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে একযোগে রাজ্যকে বিঁধেছে রাম-বাম-কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, “পুলিশের সঙ্গে ডিল চূড়ান্ত হতেই সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা গ্রেপ্তার হয়েছে।” শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে মানবপাচার ও দেহব্যবসার মতো গুরুতর অভিযোগ। তবে জামিন অযোগ্য ধারা থাকলেও ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ধারা নেই। এদিকে, শাহজাহান ভবানীভবনে থাকাকালীন পুলিশ হেফাজতে শাহজাহানের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে ইডি। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
2. লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট সুখবর শোনাল কেন্দ্র। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বাধিক। জিডিপি বৃদ্ধির কথা জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, “দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যাতে আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারেন, এবং একটি বিকশিত ভারত যাতে তৈরি করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা আরও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করার চেষ্টা করব।” ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরতে চায় মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য এই বৃদ্ধির হারকে আশজনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে অর্থনীতির বেহাল দশাকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী প্রচারের ছক কষেছে অধিকাংশ বিরোধী দল। সেই ছক ভেস্তে দিতে এই পরিসংখ্যান হাতিয়ার হতে পারে কেন্দ্রের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।