তিন জেলার একাধিক জঙ্গল ঘুরে অবশেষে জালবন্দি জিনাত। চতুর্থ ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু বাঘিনী। সোশাল মিডিয়ায় বনকর্মীদের কুর্নিশ মুখ্যমন্ত্রীর। কাশ্মীরি জঙ্গি ধরার কৃতিত্ব রাজ্য পুলিশের। দাবি রাজ্য ডিজি রাজীব কুমারের। ভোপাল দুর্ঘটনার ছায়া গুজরাটে। রাসায়নিক কারখানা থেকে গ্যাস লিক, মৃত অন্তত ৪। মেলবোর্নে ভারতের কামব্যাকের স্বপ্নে ধাক্কা। বিরাট লিড অস্ট্রেলিয়ার, শেষ উইকেটের জুটিতেও উঠল ৫৫।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তিন জেলার একাধিক জঙ্গল ঘুরে অবশেষে জালবন্দি জিনাত। চতুর্থ ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল বাঘিনী। গত ১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। এরপর ২৮ নভেম্বর থেকেই সে ঘরছাড়া। ঝাড়খণ্ডে জামশেদপুর বনবিভাগ হয়ে চাকুলিয়ার জঙ্গল, তারপর বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড়ে দিনদুয়েক ছিল ওই বাঘিনী। সেখান থেকে ময়ূরঝর্ণা হয়ে পুরুলিয়ায় রাইকা পাহাড়ে যায়। খাবার, জল ও পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে বাসস্থান অনুকূল থাকায় সেখানেই দিব্যি ছিল সে। তবে হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। হুলাপার্টি, মশাল, পটকায় বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোঁসাইডিহিতে হাজির হয় বাঘিনী। শনিবার গোঁসাইডিহিতে প্রথমবার বনদপ্তরের কর্মীদের ক্যামেরাবন্দি হয় জিনাত। এদিন বাঘিনীকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তবে তাতে কাজ হয়নি। এরপর দ্বিস্তরীয় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। নেটের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ১০ মিটার অন্তর অন্তর নেট ফেনসিং বরাবর একজন করে কর্মীকে রাখা হয়। রবিবার বিকেলে চতুর্থবার জিনাতকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ঘুমপাড়ানি গুলি। তাতেই কাজ হয়। অচেতন হওয়ার পর জাল দিয়ে বাঘিনীকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর বনদপ্তরের গাড়িতে তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে। জানা গিয়েছে, আপাতত সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে জিনাত। বনকর্মীরা সফল হতেই সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ কোরিয়া। মুয়ান বিমানবন্দরে প্রায় ১৮১ জনকে নিয়ে ভেঙ্গে পড়ল এক যাত্রীবাহীবিমান। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে রয়েছেন মাত্র দুজন। ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল বিমানটি। ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে কীভাবে রানওয়ের উপর থেকে ক্রমেই পিছলে যাচ্ছিল বিমানটি। পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর সেই কারণেই পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যায়। চাকা না খোলায় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে বিমানটি গিয়ে রানওয়ের দেওয়ালে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে যায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। ওই বিমানের ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ক্রু সদস্য ছিলেন ৬ জন। দুর্ঘটনায় তাঁদের মধ্যে প্রায় সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন বলেই অনুমান। জীবিত অবস্থায় মাত্র দুজনকে পাওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে হাজির হয় দমকলের ইঞ্জিন। অন্তত ৩২টি ইঞ্জিন সেখানে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, তৎপরতার সঙ্গে পুরো বিষয়টির মোকাবিলা করা হচ্ছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।