আর জি করের ঘটনায় এবার ভাইরাল অডিও ক্লিপ। নির্যাতিতার পরিবারকে তিনবার ফোন। ৩ কথোপকথনের অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসায় নানা জল্পনা। হুমকি দেননি জুনিয়র চিকিৎসকদের, মন্তব্যের অপব্যাখ্যায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। রামকৃষ্ণের বাণী মনে করিয়ে ব্যাখ্যা মমতার। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সুকান্ত-দিলীপের সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠক সি ভি আনন্দ বোসের। শাহের তলবে দিল্লির পথে রাজ্যপাল। পুজোর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য ফের সুখবর। বোনাসের পর বড় বৃদ্ধি অবসরকালীন ভাতার অঙ্কেও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 আগস্ট 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ধর্ষণ প্রতিরোধে কড়া আইনের পথে রাজ্য, ঘোষণা মমতার, অনুমোদন মন্ত্রিসভারও
বিস্তারিত খবর:
1. আর জি করে ঘটনায় এবার নেটদুনিয়ায় ভাইরাল তিনটি ‘রহস্যময়’ অডিও ক্লিপ। যা থেকে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে যে, নির্যাতিতার পরিবারকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর দেওয়া হচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। তবে, এই ভাইরাল অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। এদিন নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফোনে কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ। এর আগে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন যে ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। ভাইরাল ক্লিপগুলোতেও সেই অনুষঙ্গ। প্রথম ক্লিপ থেকে জানা যাচ্ছে যে, কেউ একজন বলছেন, তরুণী চিকিৎসকের শরীর খারাপ হয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় ক্লিপের অডিও অনুযায়ী জানানো হচ্ছে যে, তরুণীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলেও জানানো হচ্ছে। তৃতীয় অডিওটিতে একটি পুরুষ এবং মহিলা কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে। সেখানেও তরুণীর পরিবারের সদস্যদের দ্রুত হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ভাইরাল এই অডিও ক্লিপ ঘিরে দিনভর নানা জল্পনা চলছে। যদিও এই ফোনকল সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলেই দাবি করেছেন নির্যাতিতার মা ও বাবা।
2. বুধবার তাঁর করা মন্তব্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সমালোচনারই পালটা জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “আমরা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। আমরা এফআইআর করলে কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।” এই মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। চিকিৎসকরা দাবি করেন, তাঁদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে। পালটা ‘ভয় দেখিয়ে লাভ নেই’ বলেও মন্তব্য করেন। এই পরিস্থিতিতে এবার এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্পষ্ট করে তিনি জানান, “আমি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলিনি। আমি ওদের লড়াইকে সমর্থন করি। ওদের দাবি ন্যায্য। আমি কখনই ওদের হুমকি দিইনি। কিছু মানুষ অভিযোগ করছে আমি হুমকি দিয়েছি। কিন্তু এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে ‘ফোঁস’ শব্দের প্রয়োগ নিয়েও সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ”আমি আমার বক্তব্যে ফোঁস করা বলতে যা বুঝিয়েছি, তাও স্পষ্ট করে দিচ্ছি। এই শব্দবন্ধ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী। মহাজ্ঞানী সাধক বলেছিলেন, মাঝেমাঝে গলা চড়াতে হয়। যখন চারপাশে অপরাধ, অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হয়। আমার বক্তব্য সেই রামকৃষ্ণদেবের শিক্ষার অনুসারী।” কোনও ভাবেই যে তিনি বদলার কথা বলেননি, তা এদিন আরও স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।