সরকার ফেলতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নেতা-মন্ত্রীদের। অভিযোগ তুলে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা। কার্যত ষড়যন্ত্র তত্ত্বেই সিলমোহর তৃণমূল সুপ্রিমোর। গরু পাচার আটকাতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দাবি অভিষেকের। পরোক্ষে কি সমর্থন অনুব্রতকেই, উঠছে প্রশ্ন। ছেলে জয় শাহকে নিয়েও বিঁধলেন অমিত শাহকে। পারিবারিক সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় নাম জড়াল মমতার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ আইনজীবীদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিএসএফের গণধর্ষণ কাণ্ডে ক্ষমা চান অমিত শাহ, দাবি কুণাল ঘোষের
বিস্তারিত খবর:
1. দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর গ্রেপ্তারিকে এবার বিজেপি সরকারের ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন তাঁর গলায় শোনা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও। “পার্থ কী করেছে আমি জানি না”, দাবি করেও মমতার সাফ কথা, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে। চক্রান্ত চলছে।” এরপরই আমজনতাকে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, “কাল যদি ফিরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়, টাকা দেখানো হয়, জানবেন পুরোটা সাজানো।” কেবল ফিরহাদ হাকিমই নন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-অরূপ বিশ্বাসদেরও গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর দাবি, “বাংলায় সরকার ফেলার জন্যই একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ববিকে গ্রেপ্তার করো। অরূপকে গ্রেপ্তার করো, অভিষেককে গ্রেপ্তার করো। ভেবেছ, তাহলেই আর নির্বাচনে তৃণমূল জিততে পারবে না।”
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূলের মনোবলকে ভেঙে দিতেই ইডি, সিবিআই রেড চলছে। এমনকি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিজেপির বোঝাপড়া রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এসব কিছু দিয়ে যে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না, আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এদিন সে কথাই ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
2. সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে ফিরহাদ এবং অভিষেকের মধ্যে দূরত্ব নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু সোমবার মেয়ো রোডের জনসভা থেকে সেই জল্পনা উড়িয়ে কলকাতার মেয়র সাফ জানালেন, “যে আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, যে ভিত তিনি তৈরি করেছেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থে অভিষেকের নেতৃত্বে সেই লড়াই আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়েও আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ। তৃণমূলকে সব অভিযোগে ক্লিন চিট দিতে বাধ্য হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা, এমনটাই দাবি তাঁর। অভিষেককে ‘ছাত্র-যুব নয়নের মণি’ বলে সম্বোধন করে কার্যত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতা হিসেবে তাঁর উপরেই এদিন আস্থা রাখলেন ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর এহেন মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।