আপাতত বহাল চাকরি বাতিলের রায়। সুপার নিউমেরারি পোস্টে CBI তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। শাহজাহানের কুকীর্তিতে সুবিধা মিলেছে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর। বিস্ফোরক দাবি ইডির। কেন ব্যক্তিকে বাঁচাতে তৎপর রাজ্য, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। এসএসসি মামলা ইস্যুতে আদালত অবমাননার অভিযোগ। অভিষেকের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে কৌস্তভ। বাগুইআটি ও পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা খুনে তোলপাড় রাজ্য। ঘটনায় CBI-NIA এল না কেন, প্রশ্ন মমতার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 এপ্রিল 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- দাবদাহে স্বস্তি-সংবাদ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা আগামী সপ্তাহেই
বিস্তারিত খবর:
1. সুপ্রিম কোর্টেও ঝুলেই রইল চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর ভাগ্য। চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। বরং হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসএসসি যে মামলা করেছে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কমিশনকে। যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে তারা প্রস্তুত বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কমিশন। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, যদি যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার ব্যবস্থা থাকে তবে তা হাই কোর্টে জানানো হল না কেন? ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার পরে কীভাবেই বা যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যাবে, প্রশ্ন আদালতের। একইসঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কীভাবে এবং কেন তৈরি করা হল সুপার নিউমেরারি পোস্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কার নির্দেশে এই অতিরিক্ত পদ তৈরি হল, কে কে সুবিধাভোগী তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের সওয়াল, এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সবদিক বিবেচনা করে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সুপার নিউমেরারি পোস্টে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার, অর্থাৎ ৬ মে।
2. সন্দেশখালি কাণ্ডে বিস্ফোরক ইডি। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে ধৃতের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির দাবি, শেখ শাহজাহানের কুকীর্তির সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের দু-তিনজন মন্ত্রীও। তাই শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের জামিন দিলে সতর্ক হয়ে যেতে পারেন ওই মন্ত্রীরা।
একদিকে জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল শাহজাহানের। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে শেখ শাহজাহান অনুগামীদের সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দিতেন বলেই দাবি ইডির। ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত মূলত ৫ বছর ধরে টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। অন্যদিকে ইডির দাবি, সন্দেশখালি কাণ্ডে জমি দখলের টাকার ভাগ পেয়েছেন রাজ্যের ২-৩ জন মন্ত্রী। ওই টাকাই ঘুরপথে অস্ত্র কারবারে লাগানো হত বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। সওয়াল জবাব শেষে শেখ শাহজাহান, আলমগীর, দিদার বক্স, শিবু হাজরাকে ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। এদিকে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র আইনে মামলা করার ভাবনা নিয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই। অন্যদিকে সন্দেশখালি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কেন ব্যক্তি বিশেষকে সুরক্ষা দিতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার? শীর্ষ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুলাই মাসে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।