দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ। রেশন ডিলারদের মামলায় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়েছে রাজ্য, ঘোষণা ডিভিশন বেঞ্চের। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। অবৈধভাবে নিযুক্তদের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাইমারি টেটে আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের। ১৫০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে ‘অপা’র দুর্নীতি। জামিনের বিরোধিতা করে দাবি ইডির আইনজীবীদের।মানিক ভট্টাচার্যর সুপ্রিম স্বস্তি বহাল।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১. হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের। ডিলারদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের দাবি, দুয়ারে রেশন প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। আর সেই কারণেই এই প্রকল্পকে অবৈধ বলে ঘোষণা করল আদালত। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে বলেই সূত্রের খবর।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পরই চালু হয়েছে সেই প্রকল্প। কিন্তু ওই প্রকল্পকে অসাংবিধানিক ঘোষণার দাবিতে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শেখ আবদুল মজিদ-সহ বেশ কিছু ডিলার৷ যদিও সেখানে তাঁদের দাবি খারিজ হয়ে যায়। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ডিলাররা। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই এহেন রায় দিল আদালত। সূত্রের খবর, হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য সরকার।
২. এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্ড ডিস্কে থাকা খাতার সঙ্গে সার্ভারে আপলোড হওয়া নম্বরে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীনই এমন ঘটেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। প্রচুর খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-তেও একই জিনিস হয়েছে। তবে এই উত্তরপত্রের মালিকরা সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র পেয়েছে কি না, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকের পর তা নিশ্চিত করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন বলে প্রত্যাশা আদালতের। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও সরকারি চাকরির জন্য তাঁরা আর আবেদন করতে পারবেন না, এই মর্মে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। যদিও যে সমস্ত নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে সেই চাকরিগুলিও রক্ষা করতে চায় রাজ্য, এমনটাই দাবি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
এদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের মামলায় এদিন আরও ২২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যোগ্যতার ভিত্তিতে অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।