অলিম্পিকে ভারতের পদক যাত্রা শুরু। শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়লেন মনু ভাকের। উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ, শুভাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর। সন্ত্রাস রুখতে বড়সড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের। সিল করা হবে জম্মু সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি। দিল্লির কোচিং সেন্টারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ভারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন বেসমেন্ট, ডুবে মৃত্যু তিন IAS পড়ুয়ার। রাজনীতির ময়দানে নেতা হিসেবে নামছেন প্রশান্ত কিশোর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 জুলাই 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলার বঞ্চনার কথা বলতে বাধা, প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠক ছাড়লেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের প্রথম পদক। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়লেন মনু ভাকের। ভারতীয় শুটারের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তরুণ শুটারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সকলেই।
গতবার কোনও ইভেন্টেই সফল হতে পারেননি মনু। থামতে হয়েছিল ১২ তম স্থানে। তবে এবার যোগ্যতা অর্জন পর্বেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ভারতীয় শুটার। মনুকে নিয়ে সোনার স্বপ্নই দেখছিল দেশবাসী। সেই আশা পূর্ণ হয়নি। কিন্তু গোটা সিরিজ জুড়ে দুরন্ত লড়াই করেছেন মনু। মাত্র .১ পয়েন্টের জন্য হাতছাড়া হয়েছে রুপো। এই ইভেন্টে সোনা এবং রুপো দুটি পদকই গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ঝুলিতে। প্রথমবার অলিম্পিক পদক জিতে মনু ভাকের বলছেন, কর্মের প্রতি ভরসা ছিল। সবকিছু ভুলে লাগাতার পরিশ্রমের ফলেই আজ ব্রোঞ্জ এসেছে ভারতের ঘরে। চলতি অলিম্পিকেই আরও দুটি ইভেন্টে নামবেন মনু। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড ছাড়াও মহিলাদের ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্ট রয়েছে তাঁর। সেখানেও ভালো ফল করতে আশাবাদী ভারতীয় শুটার। তবে আশা জাগিয়েও তিরন্দাজির পদক অধরাই রইল ভারতের। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বিদায় নিলেন ভারতের মহিলা দলের তিরন্দাজরা। অন্যদিকে, এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হার ভারতের মেয়েদের। প্রথমবার এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা। হরমনপ্রীতরা ম্যাচ হারলেন ৮ উইকেটে।
2. ভূস্বর্গকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কেন্দ্র। জঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকাতে এবার পাক-জম্মু সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি সিল করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি আরআর সওয়াইন জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে এবার ‘ভিলেজ ডিফেন্স গ্রুপ’কে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। আগের তুলনায় আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সেনা, পুলিশ ও সেন্ট্রাল ফোর্সের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, বর্তমানে ৫০-৮০ জন জঙ্গি জম্মুর কাঠুয়া, রিয়াসি, ডোডা, উদমপুরের মত জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। তবে এদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে শীতে। তখন পাহাড়ের স্থানীয় বসতি সরবে, ফলে জঙ্গিদের থাকা-খাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। তখন জঙ্গিদের কাছে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তার জন্য কাশ্মীরে ঢুকতে হবে তাদের। তখনই নিরাপত্তা বাহিনীর মুখে পড়তে হবে জঙ্গিদের। ইতিমধ্যেই জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে আরও বেশি নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের যঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়িয়ে অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত খবরাখবর যাতে জোগাড় করা যায় সে চেষ্টাও চলছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।