উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ শিশুর মৃত্যু রাজ্যে। নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। নয়া গাইডলাইন জারি রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ-জট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল। বাড়ল উপাচার্যদের মেয়াদ। কাটছে না গ্রুপ-ডি জট। শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি-কে হুঁশিয়ারি হাই কোর্টের। ‘ওয়েটিং লিস্ট গঙ্গাজল নয়’, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসুর। দেশের অর্থনীতিতে সিঁদুরে মেঘ। একধাক্কায় প্রায় ২ শতাংশ কমল দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 ফেব্রুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নিশীথের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ২৫ জনেরও বেশি শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ শিশুর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নবান্নে জরুরি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে নয়া গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকেও।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া নির্দেশিকা জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে সবসময় পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক তথা এআরআই চালু রাখতে হবে। আউটডোরে ভিড় কমাতে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা পৃথক এআরআই চালু করারও নির্দেশ। সঙ্গে রাখতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে। মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে রেফার করা যাবে না বলেও নির্দেশ প্রশাসনের। চিকিৎসার সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ মোট পাঁচটি হাসপাতালকে পেডিয়াট্রিক হাব হিসেবে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। অ্যাডিনো ইস্যুতেও অবশ্য বিজেপিকে তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “নতুন রোগ এলে বুঝতে সময় লাগে। বিজেপি যেমন বুঝতে পারেনি একুশে দিল্লি থেকে হেভিওয়েট আনলেও লাভ হবে না, তেমনই।” তবে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার, এই মর্মে আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
2. রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সম্পর্কে দূরত্ব কমছে ফের। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য জট কাটাতে রাজ্যের ডাকে সাড়া দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা ছিল। তাঁদের নিয়োগপত্রে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের সই ছিল না। যার জেরে সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সমস্যা মেটাতে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। রাজ্যপালের সম্মতি নিয়েই যাঁদের নিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে রাজ্যপাল তাঁদের কাজের মেয়াদ ৩ মাসের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার ফলে এঁদের প্রত্যেকের নিয়োগ বৈধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার ৬ জন উপাচার্য এভাবে পদত্যাগ করে মেয়াদ বাড়িয়েছেন। আগামী দিনে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরাও এমনটাই করবেন বলে খবর। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, একযোগে কাজ করবে নবান্ন, রাজভবন ও বিকাশ ভবন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বলা আত্মনির্ভর ভারতের কথা মনে করিয়ে এদিন বাংলার শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার কথা বলেছেন রাজ্যপালও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।