শুরু হল কলকাতা বইমেলা। উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন্ট্রাল পার্কের নয়া নাম হল ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান সূত্র খুঁজতে আলোচনার টেবিলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা।ইউক্রেন থেকে দ্রুত ফেরানো হোক ভারতীয় পডুয়াদের। মোদিকে চিঠি মমতার। ফের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। রাজ্যের দুটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। প্রতি রবিবার আরও সকালে মিলবে মেট্রো পরিষেবা। রবিবার বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যাও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘রাজনৈতিক সহায়তা’ চেয়ে মোদিকে ফোন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
বিস্তারিত খবর:
1. শুরু হল ৪৫তম কলকাতা বইমেলা। এবার থেকে ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ হিসাবেই পরিচিত হবে সেন্ট্রাল পার্ক। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ নিয়েও আবেগে ভাসলেন তিনি। বললেন, “সীমানা দিয়ে দুই বাংলাকে আলাদা করা যায় না।” আগামী বছর আন্তর্জাতিক সংগীত মেলার আয়োজন করা হবে বলেও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বইমেলায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু, মালা রায় এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন প্রথমে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র স্টলের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর কলকাতা পুলিশের স্টল ঘুরে দেখেন। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের স্টলেও যান তিনি।
বইমেলায় এবার মোট ৬০০টি স্টল রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য মোট ৯টি তোরণ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলে। বঙ্গবন্ধু, সত্যজিৎ রায় ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি করে গেট, এবং একটি বিশ্ববাংলা গেটও রয়েছে। মেলার ২টি হলের নাম দেওয়া হয়েছে সুভাষচন্দ্র বসু ও ঋষি অরবিন্দর নামে। লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভিলিয়ান কবি-সম্পাদক শম্ভু রক্ষিত ও প্রভাত চৌধুরীর নামে। কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে মুক্তমঞ্চ। এবারই প্রথম বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ইরাক।
বইমেলার জন্য এবারও বিশেষ বাসের ব্যবস্থা হয়েছে। বিধাননগরের অটোচালকদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট ভাড়া ঠিক করা হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল সাহায্যের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সিইএসসির সাহায্যে থাকছে বইমেলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।
2. পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। জয়-পরাজয়, লাভ-লোকসান নিয়ে দাবি-পালটা দাবি চলছেই। এমন যুদ্ধের আবহে শান্তি চেয়ে এবার আলোচনার টেবিলে বসল যুযুধান দু’পক্ষ। সোমবার দুপুরে বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে শুরু হল বৈঠক। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষের উচ্চপদস্থ কর্তারা বসেছেন বৈঠকে। ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ, শাসকদলের প্রধান ডেভিড আরাখামি-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। এখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, রুশ আগ্রাসন বন্ধ করাই ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে ইউক্রেনকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখাই মস্কোর পাখির চোখ। কার উদ্দেশ্যপূরণ হয়, সেটাই এখন দেখার।
এদিকে ইউরোপ এবং আমেরিকার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। SWIFT ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েছে মস্কো। যার দরুন বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে রাশিয়া। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে সোমবার শেয়ার বাজার বন্ধ রাখতে হয়েছে তাদের। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আর্টি, স্পুটনিককে নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের একাধিক দেশ। ধাক্কা খেয়েছে রুশ রপ্তানি শিল্পও। উপরন্তু রয়েছে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আলোচনার টেবিলে বসল রাশিয়াও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।