দর্শকঠাসা যুবভারতীতে ডার্বির রং সবুজ মেরুন। রক্ষণাত্মক ফুটবল দুই শিবিরেরই। সুমিত পাশির আত্মঘাতী গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। নিমেষে ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার। ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়া হল আকাশছোঁয়া যমজ অট্টালিকা। ধোঁয়ায় ঢাকল শহর। ‘সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব, পালিয়ে বেড়াতে হবে’। হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। পালটা খোঁচা কুণাল ঘোষের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিএসএফের গণধর্ষণ কাণ্ডে ক্ষমা চান অমিত শাহ, দাবি কুণাল ঘোষের
আরও শুনুন: 26 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাহুলকে তোপ, কংগ্রেস থেকে ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের
বিস্তারিত খবর:
1. প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতা ময়দানে ডার্বি। প্রত্যাশিত ভাবেই সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ডুরান্ডের প্রথম দুটো ম্যাচে জয় অধরা ছিল মোহনবাগানের। রবিবার প্রথম জয় পেল ফেরান্দোর দল। তবে দর্শকদের উন্মাদনার সঙ্গে তাল রেখে, খেলা যেন প্রত্য়াশিত মানের হল না। এদিন দুই শিবিরই ছিল বেশ রক্ষণাত্মক। যদিও আক্রমণের নিরিখে এগিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। তুলনায় লাল হলুদ শিবির ছিল প্রায় নিষ্প্রভ। প্রথমার্ধের শেষে কোলাসোর কর্নার থেকে সুমিত পাশির আত্মঘাতী গোল জড়িয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের জালে। পুরো প্রথমার্ধে লাল-হলুদ একবারই ইতিবাচক আক্রমণ তৈরি করেছিল। ইভান গনজালেজের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু অনিকেত যাদব লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। মোহনবাগানের আক্রমণে তখন অনেক রং। আশিক প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। একাধিক বার ইস্টবেঙ্গলের বক্সে ভয়ের সঞ্চার করছিলেন কাউকো, লিস্টন কোলাসোরা। ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভাল বলতে হবে। সেই সব আক্রমণ থেকে যে কোনও মুহূর্তেই গোল পেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই হার মানতে হয়েছিল সবুজ-মেরুনকে। দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র হয়। ফলে চাপ একটা তৈরি হচ্ছিল ফেরান্দোর উপরে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ায় সেই চাপ অনেকটাই কাটিয়ে ফেললেন ফেরান্দো-বাহিনি।
2. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ১০ বছর ধরে তৈরি করা গগনচুম্বী যমজ অট্টালিকা। গুঁড়িয়ে গেল নয়ডার টুইন টাওয়ার। মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলোয় মিলিয়ে গেল ১০০ মিটার উচ্চতার অ্যাপেক্স ও ৯৭ মিটার উঁচু সিয়ানে নামের দুটি টাওয়ার। চোখের সামনে ধুলোর মেঘে ঢেকে গেল গোটা এলাকা। শুরু হয়েছে ধ্বংস পরবর্তী কাজ। তবে ৮০০০ টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে তিন মাস। দু’টি টাওয়ারের মধ্যে ১৬ মিটার দূরত্ব থাকার কথা ছিল, অথচ নির্মাণ সংস্থা দূরত্ব রাখে মাত্র ৯ মিটার। আরও গুরুতর অভিযোগ ছিল নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি ১৪ তলা অট্টালিকার অনুমোদন দেয়। কথার খেলাপ করে নির্মাণ সংস্থা। তারা দাবি করে, তাদের কাছে ৪০ তলা টাওয়ারের অনুমোদন রয়েছে। যদিও তা মানতে চায়নি হাউজিং সোসাইটি। ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি। ২০১৪ সালে হাউজিং সোসাইটির পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। পরে সুপ্রিম কোর্টও একই রায় দেয়। রবিবারের ধ্বংসযজ্ঞে বিপদ এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল নয়ডা প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকে জোড়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। বিস্ফোরণের আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়া হয় নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। এছাড়াও যমজ অট্টালিকার ৪৫০ মিটারের মধ্যে সব রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। ওই এলাকায় বিমান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহের কাজও বন্ধ ছিল সকাল থেকে। বিপদে ব্যবস্থা নিতে তৈরি রাখা হয়েছিল দমকল থেকে অ্যাম্বুলেন্স। নিকটবর্তী হাসপাতালে ৫০টি বেডও বুক করে প্রশাসন। তৈরি রাখা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দলকেও। অন্যদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে এমারেল্ড কোর্ট চত্বরে আনা হয় ১১টি স্মগ গান।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।