প্রাথমিকে নিয়োগের দুটি মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। টিভি সাক্ষাৎকারের জেরে সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। হাই কোর্টকে নির্দেশ নতুন বেঞ্চ গঠনের। পুরনিয়োগ মামলায় আপাতত ইডি-সিবিআই নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গে ভাঙচুর, অবরোধ বিজেপির। সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের।জিয়া খান মৃত্যু মামলায় প্রমাণের অভাব। দশ বছর পর সূরজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস আদালতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- কালিয়াগঞ্জে জোড়া মৃত্যুতে বনধ বিজেপির, পালটা তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। কিছুদিন আগেই অন্য একটি মামলা চলাকালীন এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তারপরেই এ বিষয়ে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন মামলা সরানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি নরসিংহের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট প্রকৃতপক্ষে দু’টি মামলার শুনানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরাতে বলেছে। একটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সৌমেন নন্দী এবং অপরটি কুন্তল ঘোষ বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে নতুন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তিনি চাইলে এই সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনের শুনানিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে পারেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উপর ভরসা বরাবরই ছিল, আছে।” রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচারব্যবস্থার প্রতি, সমস্ত বিচারপতির প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ আস্থা রয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমরা খুবই সম্মান করি। কিন্তু তিনি যেভাবে বিচারব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নিজের রাজনৈতিক উইশলিস্ট চরিতার্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটা অনভিপ্রেত।” শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
2. পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে জারি সুপ্রিম স্থগিতাদেশ। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায়ের প্রেক্ষিতেই সপ্তাহখানেক অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, সেকথাও জানান তিনি। ২৮ এপ্রিল সিবিআইকে তদন্ত সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকারকে একবারও নোটিস পর্যন্ত না দিয়ে কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাঁধে তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হল। সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।