এসএসসির যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে প্রস্তুত রাজ্য। প্রয়োজনে বাতিল ‘ব্যতিক্রমী’ নিয়োগ। তৈরি হচ্ছে ৫০০০ শূন্য পদ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। বেআইনিভাবে উত্তরপত্র নষ্টের অভিযোগ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। তদন্তের গতিতে অসন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি। রক্ষাকবচ পেলেন মানিক ভট্টাচার্য। বুধবার পর্যন্ত প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ইডি, সিবিআই।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১। অবশেষে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের পথে হাঁটল রাজ্য। এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে ৫ হাজার ২৬১টি শূন্যপদ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ২০১৪-১৬ এর এসএসসির ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। একইসঙ্গে ‘ব্যতিক্রমী’ নিয়োগ বাতিল করে বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের পরিকল্পনা করছে শিক্ষাদপ্তর। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, এই মর্মে শীঘ্রই কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা জমা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। পুজোর আগেই প্রায় দেড় হাজার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে তাঁদের কাছে শিক্ষামন্ত্রীর আরজি, “পুজোয় বাড়িতে ফিরে যান। আত্মীয়দের কাছে ফিরে যান। আন্দোলন তুলে নিন। রাজ্য আপনাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার উপর ভরসা রাখুন।” শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কারও চাকরি বাতিলের পক্ষে নন। তাই ‘ব্যতিক্রমী’ভাবে নিযুক্ত প্রার্থীদের বহাল রেখেই অতিরিক্ত শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হতে পারে। হলফনামায় দুই প্রস্তাবই কলকাতা হাই কোর্টকে জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপর আদালত যা নির্দেশ দেবে সেই মেনে নিয়োগের পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার।
২। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তারপরেও তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিবিআইয়ের অধিকর্তাদের কাছে তদন্তকারীদের নাম জানতে চাইতে পারেন বিচারপতি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার OMR শিটের হদিশ মিলছে না। অভিযোগ, আইন না মেনে সেই OMR শিট নষ্ট করে ফেলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই মামলায় এবার CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, “পর্ষদ এমন কোনও আইন আদালতের সামনে দেখাতে পারেনি, যেটা মেনে OMR Sheet নষ্ট করা হয়েছে। OMR Sheet নষ্ট করার জন্য কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। ওএমআর নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক এবং ঢিলেঢালা। সাংবিধানিক সংস্থার কাছ থেকে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়।” কার নির্দেশে বা কী উদ্দেশে ওএমআর শিটগুলি নষ্ট করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটাও খতিয়ে দেখবে। এই মামলায় পর্ষদের দেওয়া রিপোর্টে বিস্তর ফাঁকফোকর পেয়েছেন বলে দাবি বিচারপতির।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।