চাকরি থেকে সরকারি পরিষেবার সুবিধায় বাধ্যতামূলক হতে পারে বার্থ সার্টিফিকেট। এবার এমবিবিএস ডাক্তারদের মতো ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরাও। অনুব্রত গড়ে দলের অনুষ্ঠানে গরহাজির মিঠুন। অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির অন্দরেই। জি-২০ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেওয়া ভারতের জন্য বড় সুযোগ। মন-কি-বাত অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বকাপের মরশুমেই নতুন আশঙ্কা। কাতার থেকেই ফের ছড়িয়ে পড়তে পারে অতিমারী।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১। বার্থ সার্টিফিকেট অর্থাৎ জন্ম শংসাপত্র নিয়ে এবার আরও কড়াকড়ির পথে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ১৯৬৯ সালের জন্ম রেজিস্ট্রেশন আইনে সংশোধনী আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক হতে চলেছে জন্ম সার্টিফিকেট। চাকরি থেকে শুরু করে সরকারি পরিষেবার সুবিধা, কোনও কিছুই মিলবে না বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে। প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি চাকরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট পেতে হলে জন্ম সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। শুধু জন্ম সার্টিফিকেট নয়, ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ির পথে হাঁটবে কেন্দ্র। বলা হচ্ছে, হাসপাতালগুলি আগে যেমন মৃতের পরিজনদের ডেথ সার্টিফিকেট দিত, তেমন দেবে। তার পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ সহকারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও একটি ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, জন্ম শংসাপত্র বা মৃত্যু শংসাপত্র তৈরির ক্ষেত্রে গাফিলতি করে পরিজনেরা। সেই গাফিলতি এড়াতেই এবার সবক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর ফলে জনগণনা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মসূচির সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, সবক্ষেত্রেই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে আধার কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা কোন জায়গায় থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে।
২। দীর্ঘ লড়াইয়ে সাফল্য। এবার শুধুই এমবিবিএস ডাক্তাররাই নন, ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরাও এবং তা একই ভাবে বৈধ হবে। গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে এমনই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ছিল। রাজ্য়েরও সায় ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানি এবং সিদ্ধা চিকিৎসকদের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রচুর সমস্যা হত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হত মৃতের পরিবারকে। সমস্যা এতটাই তীব্র আকার নিয়েছিল যে রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দফা বিক্ষোভও দেখান। বহু জেলাশাসক, বিডিওর দপ্তরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে চলেছিল আন্দোলন। অবশেষে মিটল সমস্যা। রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল, এমবিবিএস ডাক্তারদের মতোই যাঁরা ইন্ডিয়ান মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেই চিকিৎসকরাও এবার থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন এবং তা সমান ভাবে গ্রাহ্য হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রত্যাশিত ভাবেই খুশি আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর