দেউচা-পাচামি প্রকল্প রুখতেই রামপুরহাট কাণ্ড। ফের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মমতার। তোপ দাগলেন সিবিআই-এর বিরুদ্ধেও। বগটুই কাণ্ডে আরও তৎপর CBI। ২১ জনের নামে দায়ের এফআইআর। শুরু নথি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। ধৃত আনারুলকে জেরা তদন্তকারীদের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন মিতালিরা। টানটান ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের মেয়েদের। ফের স্বমহিমায় সিন্ধু। প্রথমবার সুইস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হলেন ভারতীয় শাটলার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রামপুরহাটে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল, শান্তি ফেরাতে তৎপর রাজ্য পুলিশও
আরও শুনুন: 25 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম
বিস্তারিত খবর:
1. শিলিগুড়ির সভা থেকে ফের রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করলেন, দেউচা-পাচামি প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতেই এই ষড়যন্ত্র। তদন্তের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা। বেলা ৩টে নাগাদ শিলিগুড়িতে সভা করেন তিনি। সেখান থেকেই রামপুরহাট কাণ্ড প্রসঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, “দেউচা-পাচামির কাজ চলছে, সেখানে অশান্তি করতেই রামপুরহাটে এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” এরপরই সিবিআই তদন্ত নিয়ে একহাত নেন মমতা। তাঁর কথায়, কবিগুরুর নোবেল চুরি-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু একটি ক্ষেত্রেও এখনও কোনও কিনারা হয়নি। এরপরই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে মমতা বলেন, “সিট ভাল কাজ করছিল। এখন সিবিআই তদন্ত করছে করুক, আমরা সাহায্য করব। কিন্তু কোনওভাবে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্য কাজ করলে ফের পথে নামব আমরা।”
এদিন রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি পুড়েছে। তারপরও ক্রমাগত আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি ঘটনার পরই গিয়েছি। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানি টাকা দিয়ে মানুষের ক্ষতিপূরণ হয় না। তা সত্ত্বেও বাঁচতে অর্থের প্রয়োজন। তাই সাহায্য করেছি। তদন্তও চলছে।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আনারুল-সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতেরা তৃণমূলের সমর্থক বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পরই তৎপর সিবিআই। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২১ জনের নাম এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শনিবারের পর রবিবার সকালেও ফের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলও আরও একবার ওই গ্রামে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। রামপুরহাট থানার পুলিশের সঙ্গেও দেখা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিভিন্ন নথি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ধৃত আনারুল হোসেন-সহ ১১ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা আদালত। সূত্রের খবর, বাতাসপুরে গিয়ে বগটুই কাণ্ডে স্বজনহারাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে, বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিরাপত্তা দেবে সিআরপিএফ। সিবিআইয়ের সঙ্গে থাকবে ১ প্ল্যাটুন জওয়ান। সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তের স্বার্থে যেখানে যাবেন, সেখানে ৩৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান থাকবেন। এছাড়াও যে অস্থায়ী ক্যাম্পে সিবিআই আধিকারিকরা রয়েছেন সেখানেও থাকবে সিআরপিএফ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।