গুরুতর অসুস্থ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে হবে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক। বঙ্গে অনেকটাই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন বিক্রিতে অনুমোদন ডিজিসিআইয়ের। টাটা গ্রুপের সঙ্গে প্রথম উড়ান এয়ার ইন্ডিয়ার। বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা কমিটির দায়িত্ব পেলেন সজল ঘোষ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- কোভিডবিধি মেনেই ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন দেশজুড়ে
বিস্তারিত খবর:
1. করোনা আক্রান্ত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ভরতি রয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। গ্রিন করিডর করে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে শিল্পীকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁর।
এদিন বিকেলেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। উডবার্ন ওয়ার্ডের সামনে গিয়ে শিল্পীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। শিল্পীর মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। পরে হাসপাতালের বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোভিড পজিটিভ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বুকে আঘাত পেয়েছেন তিনি। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পারিবারিক সূত্রের খবর, বুধবার রাতেও বাথরুমে পড়ে যান তিনি। বুধবার রাতে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে শিল্পীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেও বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এত বছর পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীকে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্তে রীতিমতো কটাক্ষের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যানের পর মানসিক ভাবে একটু ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পী।
2. অতিমারী আবহে রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্রতিটি প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে চালাতে প্রশাসনিক বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে ভিড় এড়াতে এবার ভারচুয়াল বৈঠকের পথে হাঁটছে নবান্ন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে সেই বৈঠক। সূত্রের খবর, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগ দেবেন বৈঠকে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য সচিবরা। হাজির হওয়ার কথা বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং মন্ত্রীদেরও। করোনা কাঁটায় বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করতে দেরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে যাতে সব প্রতিকূলতা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়, তা নিয়ে রিভিউ করা হবে। আবার নতুন নতুন কিছু প্রকল্পগুলিকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সে নিয়েও জেলাশাসক ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।