নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। আটক আন্দোলনকারীরা, আহত পুলিশ। লাঠিচার্জ, জলকামানে বিক্ষোভ মোকাবিলা। ‘আন্দোলনের নামে লাশের রাজনীতি’, নবান্ন অভিযানকে নিশানা পুলিশের। গ্রেপ্তার ২২০ জন। বুধবার বাংলা বনধের ডাক বিজেপির, পালটা নির্দেশিকা নবান্নর। সন্দীপ ঘোষের নামে জালিয়াতির ধারা জুড়ল সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতিতে মামলার পথে ইডি। নগরপালের নামেই নথিভুক্ত সঞ্জয়ের বাইক, ব্যাখ্যা পুলিশের। ডুরান্ডের ফাইনালে মোহনবাগান। ট্রাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে পেত্রাতোসের দল।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে দিনভর ধুন্ধুমার। যদিও এদিনের অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সোমবারই পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া সে কথা। এ ছাড়া অভিযানকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্যের আশংকাও ছিল। মঙ্গলবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুরু হয় আন্দোলন। পুলিশের ত্রফে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন দেখা যায় এমজি রোড থেকে শ-পাঁচেক লোক নিয়ে মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরাই। কলেজ স্কোয়ারের মিছিলে নেতৃত্ব দেন অর্জুন সিং। নবান্ন অভিযানে শামিল হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। সাঁতরাগাছিতে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজেও বিক্ষোভকারী-পুলিশের হাতাহাতি, ছোড়া হয় জলকামান। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে মাথা ফাটে চণ্ডীতলার আইসি এবং RAF-এর জওয়ানের। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, আন্দোলনকারীরা কোনও নিয়ম না মেনে তাণ্ডব চালিয়েছে। এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি ধরপাকড়ের প্রতিবাদে X হ্যান্ডলে তোপ জে পি নাড্ডার। ধৃতদের ছাড়াতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আজকের আন্দোলনে সাধারণের যোগদান ছিল না। পুলিশ সংযত থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।” পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে কুণাল ঘোষ বলেন, “নবান্ন অভিযান নয়, সমাজবিরোধীদের অভিযান। এর মধ্যে অনেক বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে।” সব মিলিয়ে এদিন নবান্ন অভিযান ঘিরে দিনভর সরগরম থাকল মহানগর।
2. নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীদের আটক করা ঘিরে এবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলায় ধরনা, ৩০ আগস্ট রাজ্য মহিলা কমিশন ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের। তবে, কোনোভাবেই বন্ধ হবে না। এই মর্মে আগামিকাল বাংলাকে সচল রাখতে পালটা নির্দেশিকা জারি নবান্নর। চিকিতসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচার চাইছেন জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য, “অফিস-কাছারিতে আসতে হবে সরকারি কর্মীদের। দোকানপাট খুলে রাখবেন। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিকদের প্রতিও একই অনুজ্ঞা। বাংলাকে সর্বতোভাবে সচল রাখতে হবে।” ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
এদিকে ‘বেলাগাম, বিশৃঙ্খল তাণ্ডব’ বলে এদিনের অভিযানকে নিশানা করেছে পুলিশও। সাফ জানানো হয়েছে, আন্দোলনের নামে লাশের রাজনীতির ছক কষে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। ঘটনায় প্রায় ২২০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১২৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন মহিলা।পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নেমে অন্তত ১১ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, “এই আন্দোলন কখনও বাংলার প্রকৃত ছাত্রসমাজের হতে পারে না। অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে অশান্তি পাকানোর ছক ছিল।’’ আন্দোলনকে দুষ্কৃতীদের অভিযান বলে তোপ দেগেছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।