বিএসএফের গৃহবধূকে গণধর্ষণ ইস্যুতে সোচ্চার তৃণমূল। ক্ষমা চাইতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে, সরব কুণাল। রবিবার বাগদায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক। সিবিআই-এর নোটিসের মাঝেই দেখা মিলল মানিক ভট্টাচার্যের। এবার সিবিআই নজরে তেজস্বী যাদব। পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। ঝুলছে বিধায়ক পদ বাতিলের খাঁড়া। সরকার বাঁচাতে মরিয়া ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। দেশের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ উদয় উমেশ ললিতের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 26 আগস্ট 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাহুলকে তোপ, কংগ্রেস থেকে ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের
বিস্তারিত খবর:
1. বাগদায় কোলের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রতিবাদ মিছিলে নামছে রাজ্যের শাসকদল। জানা গিয়েছে, রবিবার বাগদায় প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিতে পারেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিএসএফ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনস্থ হওয়ায় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়ারও দাবি তুলেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেপ্তার এএসআই ও কনস্টেবল দুজনেই বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। আলতাফ হোসেন এবং এস পি চেরো নামে ওই দুই ব্যক্তিকেই ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই অভিযুক্তকে শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে দু’জনকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”একদিকে নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা উন্নয়নের কথা মুখে বলছেন আর অন্যদিকে কী ঘটছে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে যেভাবে এদের ব্যবহার করছেন, তাতে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠছে।” বিএসএফ-এর কাজের সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা নিয়েও এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিঁধেছেন কুণাল ঘোষ।
2. সিবিআই-এর জারি করা লুক আউট নোটিসের মাঝেই হদিশ মিলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। ফোন, ভিডিও কলের পর এবার সশরীরে দেখা মিলল তাঁর। শনিবার সকালে যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না। তদন্তে অসহযোগিতা আমি করিনি। যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি। দয়া করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিন।” যদিও বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে রাজি হননি তিনি। এই ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।