২ মে থেকেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় গরমের ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধিতে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই দুষলেন প্রধানমন্ত্রী। পালটা জবাব মমতার। মে মাস থেকেই ফের শুরু ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। হাঁসখালি ও বগটুই কাণ্ডে পুলিশকে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর। দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি। ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। স্কুলে স্কুলে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি শুরুর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. তীব্র তাপপ্রবাহে জেরবার গোটা বঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ২ মে থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাসচিবকে এমনই নির্দেশ দিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আমার কাছে খবর আসছে, গরমে অনেক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হোক।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, মে মাসে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকার পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। তবে কতদিন চলবে ছুটি, তা এখনও জানানো হয়নি। মে মাসের শেষ নাকি জুন মাসের শুরু পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষাদপ্তর। এদিকে, ১০ মে-র মধ্যে প্রথম দফার পরীক্ষা সেরে ফেলার নির্দেশ ছিল শিক্ষাদপ্তরের। ফলে চলতি মাসের শেষ থেকে বহু স্কুলে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু গরমের ছুটি পড়লে কীভাবে সেই পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় থাকছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
2. পেট্রল-ডিজেলের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাংলা-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকেই কাঠগড়ায় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। যদিও আলোচনার বিষয় ছিল করোনা পরিস্থিতি, তা সত্ত্বেও আলোচনায় উঠে আসে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ। সেখানেই তিনি বলেন, “নভেম্বর মাসে যখন কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি কমিয়েছিল সেসময় যেসব রাজ্য ভ্যাট কমায়নি, তাঁরা নিজেদের নাগরিকদের সঙ্গে অন্যায় করেছে।” বাংলা, মহারাষ্ট্র, কেরল, তেলেঙ্গানার মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির কাছে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, ৬ মাস আগে যেসব রাজ্য পারেনি, রাজ্যবাসীর স্বার্থে সেইসব রাজ্য যেন এখন পেট্রল-ডিজেলের ভ্যাট কমায়।
এই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেও তোপ দাগেন মমতা। তাঁর সাফ বক্তব্য, রাজ্যের বকেয়া ৯৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে কেন্দ্র যদি ৫০ হাজার কোটি টাকাও দিয়ে দেয়, তাহলেই তিনি পেট্রোপণ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড় দিয়ে দেবেন। রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ দিন তাঁর প্রশ্ন, “পেট্রোপণ্যে রাজ্যের থেকে ২৫ শতাংশ বেশি কর নেয় কেন্দ্র সরকার। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর পেট্রল-ডিজেলে ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা কর নিয়েছে মোদি সরকার। তাহলে রাজ্য সরকার কীভাবে চলবে? কী করে চালাব?” সব মিলিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।