রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হোন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত। দ্রুত শুরু হবে আইনি প্রক্রিয়া। শিক্ষায় সেরা বাংলা। ফের রাজ্যের ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কার ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই এই সাফল্য, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। দেহব্যবসাকে ‘পেশা’ হিসাবে স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। হেনস্তা করা যাবে না যৌনকর্মীদের। দিতে হবে আইনি সুরক্ষাও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কারফিউ জারি শ্রীনগরে
আরও শুনুন: 24 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- গুজরাটকে হারিয়ে মহিলা কর্মসংস্থানে ভারতসেরা বাংলা
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে রাজভবনের ঘেরাটোপ থেকে বের করে আনতে তৎপর হল সরকার। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপাল নন, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হল এই সিদ্ধান্ত। এই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য আইনি প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
২০০৭ সালের ‘পুঞ্চি কমিশন’-এর সুপারিশকে হাতিয়ার করেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর তোড়জোড় শুরু করল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, রাজ্যপাল প্রয়োজনীয় বিলে সই করতে কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পদে পদে অসৌজন্য ও অসহযোগিতা দেখান। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ বিলম্ব হয়। সেই কারণে আমরা এত দ্রুত এই আইনি প্রক্রিয়া কার্যকর করতে চাই।”
ইতিমধ্যেই কেরল ও তামিলনাড়়ুর মতো অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছে দু’রাজ্যের প্রশাসন। আর এবার একই পথে হাঁটল বাংলাও।
2. ফের জাতীয় পুরস্কার ‘স্কচ’ অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলা। সারা দেশের সবকটি রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। ‘স্কচ স্টেট অফ গভর্ন্যান্স রিপোর্ট ২০২১’ ক্যাটাগরিতে এবারও শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। ১৮ জুন নয়াদিল্লিতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে।
এর আগে রাজ্যের অর্থ দপ্তর থেকে শুরু করে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরও পেয়েছে এই স্কচ পুরস্কার। ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড মোকাবিলা এবং জনপরিষেবায় দুর্দান্ত কাজের সুবাদে বাংলার ঝুলিতে এসেছিল একাধিক ‘স্কচ’ অ্যাওয়ার্ড। আর এবার এই পুরস্কার উঠল রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের হাতে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কন্যাশ্রী’, ‘শিক্ষাশ্রী’, ‘সবুজসাথী’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’-এর মতো একাধিক প্রকল্পের সাহায্য নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে চলেছে ছাত্রছাত্রীরা। তাই এই পুরস্কার এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই, এমনটাই ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।