মণিপুর ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদের। প্রস্তাব গ্রহণ করল লোকসভা। দ্রুত বিতর্কের দিন ঘোষণা করবেন স্পিকার। কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হোক ভাঙড়কে। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে নয়া সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। ভাঙড় ইস্যুতে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব নওশাদের। ঝুলেই রইল পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ অগস্ট। পঞ্চায়েত হিংসার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির। নারী নির্যাতন কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন? প্রশ্ন তুলে বিধানসভা বয়কট বিরোধীদের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জুলাই 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- মুজাহিদিনের সঙ্গে INDIA জোটের তুলনা মোদির, কটাক্ষ মমতা-রাহুলের
বিস্তারিত খবর:
1. মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের পরেও কোনও বিবৃতি মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর। এই অবস্থায় বুধবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। কংগ্রেসের পাশাপাশি বিআরএসও প্রস্তাব এনেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন সমস্ত বিরোধী সাংসদরাই উঠে দাঁড়িয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানান। প্রস্তাব গ্রহণ করেছে লোকসভা। এই নিয়ে বিতর্ক কবে হবে, শীঘ্রই সেই তারিখ ঘোষণা করবেন স্পিকার।
মণিপুরে এই অবস্থা কেন, বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তার জবাব দাবি করে সরব বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, এদিনই এক বৈঠকে মিলিত হন INDIA জোটের সাংসদরা। এরপর সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তবে বিপুল সমর্থনের কারণে এই প্রস্তাবে সরকারের কোনও সংকট তৈরি হওয়া সম্ভব নয়, এই মর্মে বিরোধীদের খোঁচা দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশি। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘আত্মঘাতী গোল’ বলে কটাক্ষ বিজেপির। তবে মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের নীরবতা ভঙ্গ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ, দাবি বিরোধীদের। সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে বারবার অশান্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। আর সেই অশান্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার নয়া ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভাঙড়কে এবার কলকাতা পুলিশের নয়া ডিভিশনের আওতায় আনার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনের একটি অনুষ্ঠানে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে এ কথা জানান তিনি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে না হতেই কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় ভাঙড়ে। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরেও রোখা যায়নি প্রাণহানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নাম না করে ভাঙড়ে অশান্তির দায় চাপান আইএসএফের উপরেই। আর পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর এবার অশান্ত ভাঙড়কে শান্ত করতে নয়া ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে এদিন ভাঙড় নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব এনেছেন নওশাদ সিদ্দিকি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।