কলকাতা হাই কোর্টে বেনজির সংঘাত বিচারপতিদের। হস্তক্ষেপ শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও সিনহার, সরল প্রাথমিক মামলা। ‘ফোন করেননি খাড়গে’, জোট প্রশ্নে ফের কংগ্রেসকে তোপ মমতার। সাধারণতন্ত্র দিবসে অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রদর্শন দিল্লির রাজপথে। ‘একতাই সম্প্রীতি’, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। সাধারণতন্ত্র দিবসে উপহার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর। ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ ফ্রান্সে।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- চোট নিয়েও জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ৫ দিনে ঘুরবেন বাংলার ৮ জেলা
বিস্তারিত খবর:
1. কলকাতা হাই কোর্টে বেনজির সংঘাত বিচারপতিদের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাতের জেরে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হল পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। শনিবার এই মামলার শুনানি। সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগে এক মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন, “বিচারপতি সৌমেন সেন স্পষ্টতই একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন।” এরপরই সুপ্রিম নির্দেশে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তৈরি হল বিশেষ বেঞ্চ।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল প্রকাশ মামলা আর শুনতে পারবে না হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এই মামলা চলবে ডিভিশন বেঞ্চে। মৌটুসি রায় নামে এক প্রার্থীর আবেদন ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় বিভিন্নরকম রায় দিচ্ছে, তাই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে সরানো হোক। সেই আর্জির প্রেক্ষিতেই এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরতদের নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ নিয়ে এই মামলা, যার উপর নির্ভর করছে রাজ্যের ৫৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ।
2. পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর ব্যাপারে ফের তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজভবনে আয়োজিত চা চক্র থেকেই তিনি জানিয়ে দিলেন, বাংলায় বিজেপির সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে একাই নামবে তৃণমূল। তিনি আরও জানালেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মাথায় আঘাত লাগার খবর পেয়ে সোনিয়া গান্ধী তাঁকে ফোন করেছিলেন। তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁকে ফোন করেননি বা ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কোনও কথাও হয়নি, জল্পনা উড়িয়ে সাফ জানালেন নেত্রী।
এদিকে বাংলা, পাঞ্জাবের পর এবার বিহারেও বড় ধাক্কা ইন্ডিয়া জোটের। জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদ যাদবের বদলে বিজেপির হাত ধরেই বিহারের মসনদ টিকিয়ে রাখার ছক কষছেন নীতীশ কুমার, এমনই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। ২০২০-তে বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে লড়ে জিতলেও ২০২২ সালের আগস্টে এনডিএ ছেড়ে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সমর্থন নিয়ে ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। তবে, মনে করা হচ্ছে, নিজের উদ্যোগের বিজেপি-বিরোধী জোটে ‘গুরুত্ব’ না পেয়ে শেষমেশ এনডিএ-তেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নীতীশ। সেক্ষেত্রে রবিবারই বিজেপির হাত ধরে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।