মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বাংলায় হাতেখড়ি রাজ্যপালের। রাজ্যপালকে বর্ণপরিচয় উপহার মুখ্যমন্ত্রীর। অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু, কটাক্ষ দিলীপেরও। সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জমকালো বাংলার ট্যাবলো। চণ্ডীপাঠ, ঢাকের তালে মাতলো দিল্লির কর্তব্য পথ। শহিদের স্বপ্ন পূরণের ডাক প্রধানমন্ত্রীর। উপস্থিত রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী, হাজির দর্শকও। সংবিধানের সূত্র ধরেই গণতন্ত্র রক্ষার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ইন্দোরে ‘পাঠান’ বিরোধী বিক্ষোভ রূপ নিল সাম্প্রদায়িক হিংসার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- জমি দখল ইস্যুতে অর্মত্য সেনকে পরোক্ষে তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
আরও শুনুন: 24 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ‘অবৈধ’ চাকরিপ্রাপকদের তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে বাংলায় হাতেখড়ি হল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে এদিন বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় উপহার দেন তিনি। মাতৃভাষার বিভিন্নতার সূত্রেই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন খুদেদের হাত ধরেই বাংলা বর্ণ ও কথার সঙ্গে পরিচয় হয় রাজ্যপালের। নিয়ম মেনে গুরুদক্ষিণাও দিয়েছেন তিনি। তবে এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে গোড়া থেকেই তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে আগেভাগেই টুইটে জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এত অভিযোগের পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু। এই নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়, “প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে, ভুলই শিখবেন। যদিও দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “নিজেরা ঠিক ভাবে হাতেখড়ি দিন, না হলে ৭০ থেকে সাতে নেমে যাবেন।” রাজনৈতিক বিতর্ক থাকলেও সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয় রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। এর আগে রাজ্যপাল-রাজভবন বিরোধেরই সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তবে এদিনের অনুষ্ঠান একেবারে মেলবন্ধনের বার্তাই যে বয়ে আনল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা রাজ্যপালের। উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে শুক্রবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে বলে খবর।
2. সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপনে রাজধানীতে নজর কাড়ল বাংলার ট্যাবলো। গতবছর এই অনুষ্ঠানে ঠাঁই পায়নি বাংলার ট্যাবলো। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। তবে এ বছর ফিরল চেনা ছবি। ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। মূলত সেই দুর্গাপুজোকে থিম করেই এবারে ট্যাবলো সাজায় রাজ্য সরকার। যার নাম দেওয়া হয়- ‘দুর্গা ও নারী ক্ষমতায়ন’। ট্যাবলোর সামনের দিকটা ছিল মঙ্গল ঘটের আদলে তৈরি। তারপরই ছিল মাতৃমন্দির। সেখানেই দেবী দুর্গা সপরিবারে অবস্থান করছেন। সনাতনী ডাকের সাজে মায়ের সেই মূর্তি, সেই সঙ্গে চণ্ডীপাঠ এবং ঢাকের আওয়াজ। সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির বুকে যেন শরতের ছোঁয়া নামিয়ে এনেছিল বাংলার ট্যাবলো। দিল্লির কর্তব্যপথে এদিন সাধারণতন্ত্রের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে শক্তি প্রদর্শন করে সেনার তিন বাহিনী। এদিন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একজোট হয়ে শহিদের স্বপ্ন পূরণের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।