লোকসভার আগে সংগঠনে জোর দিতে কলকাতায় অমিত শাহ। বড় রদবদল বঙ্গবিজেপির অন্দরে। শাহি নির্বাচনী কমিটিতে গুরুত্ব দিলীপ-সহ পুরনোদের। শাহের সফরের পরেই শহরে আসছেন মোহন ভাগবত। যাদবপুরের সমাবর্তনকে বেআইনি ঘোষণা রাজ্যপালের। প্রশ্নের মুখে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। উপাচার্যকে সরানো প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন সিভি আনন্দ বোস। কুস্তিগিরদের আন্দোলনে সুর চড়ছে আরও। বজরং-বীরেন্দ্রর পথে এবার ভিনেশ ফোগতও। মোদিকে খোলা চিঠি দিয়ে ঘোষণা খেলরত্ন-অর্জুন পুরস্কার ফেরানোর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বিবেকানন্দকে অপমানের অভিযোগ, শাহি সফরের দিনেই পথে নামছে তৃণমূল
আরও শুনুন: 24 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ সফল, বিজেপির দাবির পালটা তৃণমূলের
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা ভোটের আগেও থামছে না বঙ্গবিজেপির আদি-নব্য কোন্দল। এদিকে দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টে ভর করেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না বাংলায়। এই পরিস্থিতিতে চব্বিশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংগঠনে জোর বাড়াতেই শহরে এলেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। আর শাহি সফরেই বিরাট রদবদল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। দলের কোর কমিটি ভেঙে দিয়ে লোকসভার কথা মাথায় রেখে নতুন নির্বাচনী কমিটি গঠন করল গেরুয়া শিবির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই কোর কমিটিতে জায়গা পেলেন দিলীপ ঘোষ, রইলেন আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। দিল্লির ভরসায় নয়, লড়তে হবে নিজেদের সংগঠনের শক্তি দিয়েই, বঙ্গনেতাদের বার্তা দিলেন অমিত শাহ।
দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত শিবিরের দাপটে। এমনকী মুরলীধর স্ট্রিটের অফিসে যেভাবে দিলীপদের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও কারও নজর এড়ায়নি। অথচ, লোকসভার আগে দলের ভঙ্গুর সংগঠন সামাল দিতে সেই দিলীপেই ভরসা রাখল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খোদ অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা এসে তাঁকে রাখলেন দলের ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিটিতে। এই কোর কমিটির উপরই থাকবে দলের কৌশল নির্ধারণ এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ভার। কমিটিতে রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, দলের পাঁচ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা। দলের রাজ্য নেতাদের উপর যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ ভরসা নেই, এই সিদ্ধান্তে সে কথাই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
2. বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শহর ছাড়ার ৩ দিনের মধ্যে রাজ্যে পা রাখবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থার প্রধান মোহন ভাগবত। নতুন বছর পড়ার আগেই রাজ্যে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে সরসংঘপ্রধানের।
RSS সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি রাতে কলকাতায় আসবেন মোহন ভাগবত। ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বাংলায় থাকবেন তিনি। এই সফরে মূলত সাংগঠনিক আলোচনা করবেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যার মধ্যে নাম রয়েছে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি আন্দোলনের অন্যতম মুখ উপেন বিশ্বাসের। একই সঙ্গে ভাগবত দেখা করতে পারেন AIFF প্রধান কল্যাণ চৌবের সঙ্গেও। তবে এসবের বাইরে একাধিক সাংগঠনিক কর্মসূচি রয়েছে মোহন ভাগবতের। রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিকে নজর রেখে সেই সংক্রান্ত কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করতে পারেন তিনি। রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে সামনে রেখে রাজ্যে হিন্দুত্বের ধুয়ো তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যে পুরো ব্লু প্রিন্ট ছকে ফেলা হবে ভাগবতের সফরেই, শোনা যাচ্ছে এমনটাই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।