দেশজুড়ে বুস্টার ডোজের প্রস্তুতি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের ব্যবধান হতে পারে ৯ থেকে ১২ মাস। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার প্রস্তাবে তীব্র শ্লেষ। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ! সাধারণ সম্পাদকের পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- বড়দিনের আমেজে মাতল রাজ্যবাসী, সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
আরও শুনুন: 24 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- কাটল জট, হাওড়া-বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে সই রাজ্যপালের
বিস্তারিত খবর:
1. ১০ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হবে করোনার প্রিকশন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথমে করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ পাবেন করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক বা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা। প্রিকশন ডোজ পাবেন কোমর্বিডিটিযুক্ত ষাটোর্ধ্বরাও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ঠিক কতদিন বাদে এই বুস্টার বা প্রিকশন বা তৃতীয় ডোজ পাওয়া যাবে? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, করোনার দ্বিতীয় এবং প্রিকশন ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে এই অতিরিক্ত অর্থাৎ প্রিকশন ডোজের সময়ের ব্যবধান রাখা হবে কমবেশি ৯ থেকে ১২ মাস।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিন সামান্য হলেও স্বস্তি মিলল করোনার দৈনিক পরিসংখ্যানে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৯৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪২২ জন। আগের দু’দিনের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা তেমন বাড়েনি। মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬২ জন। এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে বাংলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৫৪৪ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২১৯ জন। রাজ্যে একদিনে ভাইরাসের বলি ৫ জন। তবে কলকাতায় সন্দেহভাজন ওমিক্রন আক্রান্তের ক্রমশ বাড়ছে। বিদেশ ফেরত আরও চারযাত্রী কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
2. রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সুর চড়ল আরও। রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জগদীপ ধনকড়। সেখানেই একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কটাক্ষের সুরে ধনকড় বলেন, “আমি খুবই আশ্চর্য হলাম, যখন শিক্ষামন্ত্রী আমার সঙ্গে আলোচনা না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করবেন বলে জানালেন। আপনারা এক কাজ করুন, আচার্য কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালই করে দিন। তাতেই আপনাদের শান্তি হবে।”
শুক্রবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরও একবার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী কেরলের রাজ্যপালের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করা যায় কি না, সে বিষয়ে সাংবিধানিক ও আইনি দিক খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজন হলে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেবে শিক্ষাদপ্তর। আর রবিবার তিনদিনের দার্জিলিং সফরে গিয়ে এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের বিরোধিতায় তিনি বলেন, “রাজ্যপাল, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও, তাঁকে না জানিয়ে কি উপাচার্য নিয়োগ করা যেতে পারে? দেশে কোথাও এমন আইন নেই। রাজ্যপালকে না জানিয়ে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে সেগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে, না হলে আমাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।