ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য। ঝুলে রয়েছে একাধিক ধর্ষণ ও পকসো মামলা। আর জি কর আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি কেন্দ্রের। নবান্ন অভিযানের আড়ালে ছড়াতে পারে অশান্তি। সতর্ক প্রশাসন, পথে অতিরিক্ত ৪ হাজার পুলিশ। ‘বেআইনি কর্মসূচি’, দাবি রাজ্য পুলিশের। দেহ উদ্ধারের পর আর জি করের সেমিনার হলে জমায়েত সন্দীপ-ঘনিষ্ঠদের। প্রকাশ্যে ভিডিও, প্রমাণ নষ্টের জল্পনা। জবাব দিল লালবাজার। ডার্বি বাতিলের পর মোহনবাগান ম্যাচ ঘিরেও তৎপর পুলিশ। যুবভারতীতে টিফো নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে বাংলায়। তারপরেও কেন্দ্র অনুমোদিত সবগুলি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করেনি রাজ্য সরকার। আর জি কর আবহেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পালটা কেন্দ্রের।
আর জি কর কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে ধর্ষণের দ্রুত বিচার চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি জানিয়েছিলেন, দেশে ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন রুখতে কড়া আইন আনতে হবে। এবার মমতাকে পালটা চিঠি লিখে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের শাস্তির ধারাগুলি উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। একইসঙ্গে জানালেন, এই আইন কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। তাঁর দাবি, ধর্ষণের দ্রুত বিচার নিয়ে ২০১৯ সালে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রকল্প বাংলায় ঠিকমতো কার্যকর করা হয়নি। বাংলার জন্য প্রথমে ১২৩টি কোর্টের অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০টি ছিল পকসো মামলার বিচারের জন্য। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত একটিও কোর্টও চালু করা হয়নি। এর পর ওই বছরের ৮ জুন কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চায় রাজ্য। সেই সময় রাজ্যকে ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মাত্র ছটি পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু হয়েছে। অনুমোদন দেওয়া বাকি ১১টি কোর্ট চালু করতে পারেনি রাজ্য সরকার। আর জি কর কাণ্ডের মধ্যেই এই তথ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে পালটা দিল কেন্দ্র।
2. নবান্ন অভিযানের নামে শহরে অশান্তি ঘটানো হতে পারে, অভিযোগ কলকাতার গোয়েন্দাদের। এই গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার। মঙ্গলবার শহরে যাতে কোনও গোলমাল না হয়, তার জন্য রাস্তায় নামছে অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার পুলিশ। সাতটি জায়গায় থাকছে ব্যারিকেড। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশবাহিনীকে নির্দেশ দেবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। নামানো হচ্ছে জলকামান ও ‘বজ্র’। ড্রোনেও হবে নজরদারি। নবান্ন ঘিরে থাকবে হাওড়া কমিশনারেটের প্রায় দু’হাজার পুলিশ।
লালবাজারের আশঙ্কা, অরাজনৈতিক সংগঠনকে সামনে রেখে আসলে বিজেপি এই অভিযানের নামে অশান্তি করতে পারে। বিজেপি ভয়ংকর প্লট তৈরি করেছে, দুটি ভিডিও দেখিয়ে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ADG, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মাও সাফ জানান, “কোনও ছাত্র সংগঠনের তরফে আমাদের কাছে ২৭ আগস্টের অভিযান নিয়ে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাই এই মিছিল বেআইনি।” যারা অভিযানের ডাক দিয়েছে, সেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর সোশাল মিডিয়ার সূত্র ধরে এডিজি, দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের অভিযোগ, সদস্যদের বেশিরভাগই বিজেপি, এবিভিপির সদস্য। বস্তুত কর্মসূচির আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে সেই পরিচয়েই সিলমোহর দিয়েছেন ছাত্রসমাজের সদস্যরা। ফলে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে অশান্তি রুখতে আরও তৎপর পুলিশ প্রশাসন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।