গরুপাচার মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অভিযোগ তদন্তে অসহযোগিতার। বুধবার দিল্লিতে দীর্ঘ জেরার পর সিদ্ধান্ত গ্রেপ্তারির। এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জে মৃতার পরিবার। দাবি পুলিশি নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণের। বহিরাগতদের দিয়েই তাণ্ডব, বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। বন্দুকবাজের তাণ্ডবে উত্তেজনা মালদহের স্কুলে। ঘটনার নেপথ্যে দিল্লির ষড়যন্ত্র দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৪-র প্রাইমারি টেট নিয়ে পদক্ষেপ সিবিআই-এর। চাওয়া হল চাকরিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 এপ্রিল 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- অভিষেকের সভা শেষে ব্যালট লুট, ফের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটের ঘোষণা
বিস্তারিত খবর:
1. গরুপাচার মামলায় এবার গ্রেপ্তার অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার দিল্লিতে দীর্ঘ জেরার পর সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এদিন সকালে দিল্লিতে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন সুকন্যা। সকাল থেকে দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত এবং তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন সুকন্যাকে তলব করে ইডি। গরুপাচারের দরুন আর্থিক লাভবান হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের তালিকায় গোড়াতেই উঠে এসেছিল সুকন্যার নাম। ইডি-র দাবি সুকন্যা পুরো বিষয়টি সম্পর্কেই অবগত। বারবার নোটিস দেওয়া হলেও হাজিরা এড়িয়েই গিয়েছিলেন অনুব্রতকন্যা। তবে শেষরক্ষা হল না। বুধবার ইডির অফিসাররা দিল্লিতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন। সেখানে সুকন্যার উত্তরে অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে বেশ কয়েকটি নথি দেখিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হয়। যার সদুত্তর দিতে পারেননি সুকন্যা। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরেই তাঁকে গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানাবে ইডি। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও সুকন্যাকে জেরা করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
2. কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় নয়া মোড়। এবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল মৃতার পরিবার। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এবার সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃত নাবালিকার বাবা। বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। এর আগে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে এবার সরাসরি আদালতের হস্তক্ষেপ চাইল মৃতার পরিবার। এদিকে কালিয়াগঞ্জের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানাতেও আগুন লাগিয়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, থানায় আগুন ধরানোর পর অস্থায়ী ক্যাম্পের তক্তার নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আহত অন্তত ১৬ পুলিশ কর্মী। এই তাণ্ডবের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। কালিয়াগঞ্জের একাধিক এলাকায় ২৮ তারিখ পর্যন্ত জারি ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতার দাবি, “বিহার থেকে লোক এনে কালিয়াগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি। গুন্ডামি, জল্লাদগিরি করেছে। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে নিশ্চিতভাবেই দিল্লির হাত আছে।” মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে পুলিশের ভুল মেনে নিয়েও এদিন বিজেপিকে তোপ দাগলেন মমতা। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালিয়ে দলমত নির্বিশেষে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।