নাম না করে অর্মত্য সেনকে কটাক্ষ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের। ‘শান্তিনিকেতনের জমি দখল করলেই রাবীন্দ্রিক’, নোবেলজয়ীকে ফের তোপ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ফের নিশানায় সাকেত গোখলে। গুজরাটের জেলে বন্দি তৃণমূল মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার ইডির। উঠল ক্রাউডফান্ডিংয়ের নামে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। চিনের কাছে জমি হারাচ্ছে ভারত। লাদাখের ২৬টি পেট্রোলিং পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া দেশের। পুলিশকর্তার বক্তব্যে উদ্বেগ, রিপোর্ট খারিজ সেনার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ‘অবৈধ’ চাকরিপ্রাপকদের তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের
আরও শুনুন: 23 জানুয়ারি 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- আন্দামানে দ্বীপের নামকরণ নেতাজিরই, মোদিকে মনে করালেন মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. নাম না করে ফের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জমি ফেরত চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে চিঠি পাঠানোর পরেই তাঁর কটাক্ষ, “শান্তিনিকেতনের জমি দখল করে রাখলেও রাবীন্দ্রিক। অন্যায় করলেও রাবীন্দ্রিক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে অপমান করলেও রাবীন্দ্রিক।” তাঁর দাবি, ‘রাবীন্দ্রিক’ শব্দটি অনেকের কাছেই ‘স্বার্থসিদ্ধির সোপান’। তাঁর আরও সংযোজন, বিশ্বভারতীতে উচ্চশিক্ষিত মানুষ যেমন আছেন, সেরকমই অশিক্ষিত মানুষও আছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক অল্পশিক্ষিত মানুষ। তাঁদের কাছে রাবীন্দ্রিক শব্দের সঠিক অর্থ পাওয়া যাবে না বলেই মত তাঁর।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সুরুল মৌজায় অমর্ত্য সেনের প্লটে ১৩ ডেসিমেল বিশ্বভারতীর জমি রয়েছে দাবি করে তা ফেরত চেয়ে চিঠি গিয়েছে অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র ঠিকানায়। শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকদের অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য অমর্ত্যকে হেনস্তা করতে নেমেছেন। একই অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলেরও। এবার দেশে এসেই বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে বরাবরের মতো সরব হয়েছেন অমর্ত্য। আর এরপরেই নাম উল্লেখ না করে নোবেলজয়ীকে কটাক্ষ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
2. ফের গ্রেপ্তার তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে। এবার আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গুজরাটের জেলে বন্দি সাকেতকে গ্রেপ্তার করল ইডি। কিছুদিন আগে আর্থিক তছরুপের অভিযোগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাট পুলিশ। এবার হেফাজতে থাকাকালীনই কেন্দ্রীয় সংস্থার কোপ পড়ল তাঁর উপরে।
গত ৫ জানুয়ারি সাকেতকে তৃতীয়বারের জন্য গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। দিল্লির বঙ্গভবন থেকে একপ্রকার জোর করেই তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল মুখপাত্রর বিরুদ্ধে ক্রাউডফান্ডিংয়ের নামে টাকা তুলে সেই টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের তরফে সাকেতের জামিনের আবেদন করা হলেও গুজরাটের স্থানীয় আদালতে জামিন মেলেনি। বুধবার জেল থেকেই ওই একই অভিযোগে তৃণমূল মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এবার আদালতে গিয়ে সাকেতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারে ইডি। তবে সাকেতের পাশে থেকে ইডির পালটা আইনি পদক্ষেপ করবে তৃণমূলও, খবর সূত্রের। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বারবার সাকেতকে নিশানা করলে বিজেপি সরকার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।