যাদবপুর ইস্যুতে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। ব়্যাগিং রুখতে ISRO-র কাছে প্রযুক্তির সাহায্য চাইলেন বোস। নিয়োগ দুর্নীতিতে নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ জীবনকৃষ্ণর। মণিপুর হিংসায় CBI-র হাতে থাকা মামলার শুনানি অসমে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির বদল সংক্রান্ত বিল নিয়ে চাপানউতোর শাসক-বিরোধীর। ৪০ বছর পর গ্রিসের মাটিতে পা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। মিজোরামে দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 24 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- গ্রামোন্নয়নে মিলল বকেয়া, কেন্দ্র থেকে দু’দফায় ১৬৪৭ কোটি পেল রাজ্য
বিস্তারিত খবর:
1. যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং রুখতে এবার ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাঙ্গনে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, প্রযুক্তির সাহায্যে র্যাগিং রুখতে হায়দরাবাদের অ্যাডরিন সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিকে, যাদবপুরে সেনার পোশাক পরে যুবক-যুবতীদের ঢোকার ঘটনায় উপাচার্যকে তলব করল প্রশাসন। ঘটনার রহস্যভেদে তলব করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও। কিছুদিন আগে সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে একদল যুবক-যুবতী, অভিযোগ এমনটাই। তাঁরা নিজেদের একবার রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী বলে দাবি করেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী বলেও দাবি করে। জানায় তারা নাকি যাদবপুরের র্যাগিং সংস্কৃতি শেষ করতে এসেছে। পরবর্তীতে জানা যায়, স্রেফ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য তারা। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, সেনা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে জলপাই রঙের পোশাক পরলেন তাঁরা। ঘটনার জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। ওই ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় সেনার নাম ও প্রতীকের অপব্যবহারের মামলা করেছে। কীভাবে ওই যুবক-যুবতীরা ক্যাম্পাসে ঢুকল, তা জানতেই এবার উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করল প্রশাসন।
2. নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে বিঁধে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যর্থতা আছে, তারা প্রমাণ করতে পারছে না। এর আগে আপনারা তো দেখেছেন খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার ছবি। তাকেই তো ধরতে পারছে না। সেটা আগে তদন্ত করতে বলুন।” একথা শুনে সাংবাদিকরা পালটা প্রশ্ন করেন, তিনি ঠিক কাকে ইঙ্গিত করে একথা বললেন? জবাবে সিবিআই দপ্তরে বারবার কার ফোন আসে, সে প্রশ্ন ছুড়ে দেন জীবনকৃষ্ণ। এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি সাফ বলেন, “তদন্ত করে নাম খুঁজে বার করুন।” আর এতেই শুভেন্দুর দিকে নিশানা স্পষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে, দুর্নীতি ইস্যুতে তুঙ্গে শুভেন্দু-অভিষেক তরজা। কিছুদিন আগে এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মুখোমুখি বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি শুভেন্দু। তাঁর দাবি, অভিষেকের সঙ্গে তর্ক করার কোনও প্রয়োজন তাঁর নেই। কারণ আগেই সম্মুখসমরে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সাফ দাবি, বিরোধী দলনেতা ভয় পেয়েছেন। শুভেন্দুর কাছে অভিষেকের সব প্রশ্নের জবাব নেই বলেই মুখোমুখি হতে চাইছেন না বলে দাবি দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।