আইনি দ্বৈরথের মাঝেই স্বস্তি। চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দিতে আগ্রহী রাজ্য। অযোগ্যদের তালিকা দিয়েছিল কমিশন, সাফাই চেয়ারম্যানের। ছাত্র-যুবদের চাকরি খেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তমলুক থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার। চুরি করা ইস্যুতে নাম না করে তোপ শুভেন্দুকে। ভোটের মাঝেই ফলপ্রকাশ হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের। প্রকাশিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনের ফলও। রাজ্যে জয়েন্টের দিনে চলবে বাড়তি মেট্রো।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আইনি টানাপোড়েনের মধ্যেও আপাত স্বস্তিতে চাকরিহারারা। চাকরি বাতিল হলেও প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে এপ্রিলের বেতন দিতে আগ্রহী রাজ্য, এমনটাই জানা যাচ্ছে শিক্ষাদপ্তর সূত্রে। এপ্রিল মাস জুড়ে তাঁরা কাজ করেছেন, তাই শ্রম আইন অনুসারেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কমিশন। বিষয়টি নিয়ে যাতে দ্রুত শুনানি করা যায় তার আবেদন জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে মামলা যতদিন বিচারাধীন থাকবে ততদিনও তাঁদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এদিকে এই চাকরি বাতিল ইস্যুতে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এসএসসি যোগ্যদের তালিকা দিতে ব্যর্থ। এ বিষয়ে এবার মুখ খুলে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের দাবি, হলফনামা আকারে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ছেদ নেই সিবিআই-এর। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে আধিকারিকদের জেরার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এজেন্ট সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়। যে কোনও মূল্যে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
2. ছাত্র-যুবদের চাকরি যাওয়ার জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারে তমলুকে সভা করতে গিয়ে কার্যত বিজেপি প্রার্থীকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাফ জানালেন, “আমরা এখানে অন্য প্রার্থী দিইনি ইচ্ছে করেই। ছাত্র-যুবরা, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে দেবাংশু লড়বে এখানে।” বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের বিবাদ বেধেছে বারবার। বিশেষত নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর রায় নিয়ে বরাবর আপত্তি তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। তিনি বিজেপি প্রার্থী হতেই চাকরি বাতিলের রায়কে হাতিয়ার করে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুধু অভিজিৎ নন, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি বিরোধিতার সুর সপ্তমে চড়ালেন মমতা। নাম না করে তৃণমূলকে ‘চুরি করা’ শেখানোর দায় চাপালেন শুভেন্দুর উপর। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে পালটা দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারীও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।