এসএসসি নিয়োগ মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও। রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাঠাল দিল্লি। প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহারের দাবি খারিজ কেন্দ্রের। বকেয়া ডিএ চেয়ে আন্দোলনের জেরে ধৃত ৪৭ জনেরই জামিন মঞ্জুর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 নভেম্বর 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রথম ম্যাচেই স্বপ্নভঙ্গ মেসির, সৌদি আরবের কাছে হার আর্জেন্টিনার
বিস্তারিত খবর:
1. এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। অতিরিক্ত শূন্যপদের নেপথ্যে কারা, সেই সন্ধানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বহাল রইল শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশও। এর আগে, এসএসসিতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের জন্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আনা আবেদনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার জবাবদিহির জন্য রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীষ জৈনকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু শিক্ষাসচিবের হাজিরার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু এদিন গোটা বিষয়টি শোনার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকবে বলে জানিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দেওয়ার অর্থ, যাঁরা অনৈতিকভাবে চাকরি করছেন, তারাও কাজে বহাল থাকবেন। তাই কমিশন কীভাবে অবৈধদের চাকরি দেওয়ার আবেদন করল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, সচিবকে তলবের নির্দেশকে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায়, সে বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। এদিনের শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখারই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
2. অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ৮২০০ কোটি টাকা দেওয়া হল রাজ্যকে। তবে কেন্দ্রের তরফে শর্তসাপেক্ষে এই টাকা দিয়ে বলা হয়েছে, প্রকল্পে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নামই থাকবে, মুখ্যমন্ত্রীর নয়। রাজ্যের দাবি ছিল, যেহেতু এটি যৌথ প্রকল্প, তাই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী উভয়ের নামই থাকবে প্রকল্পে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। নবান্ন সূত্রের খবর, ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরির জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। আপাতত বাড়ি তৈরির ৬০ শতাংশ টাকা দিল কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্প বাবদ ৫৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একাধিক প্রকল্পে বাংলার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হলেও ১০০ দিনের প্রাপ্য এখনও অধরাই। তা নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ, একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বুধবারও নেতাজি ইন্ডোরের জমির পাট্টা বলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, এখান থেকে বারবার কেউ কেউ কেন্দ্রকে চিঠি লিখে রাজ্যের টাকা আটকে দিচ্ছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। এর জন্য কাজের অসুবিধার কথাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধাপে ধাপে কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর