দু’বছরের কারাদণ্ডের জের। খারিজ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। টুইটে সরব মমতাও। বদল নয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের উপরেই আস্থা তৃণমূলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরোধীদের তোপের মুখে ঢাল বাম আমল। কালীঘাটে মমতার সঙ্গে বৈঠক কুমারস্বামীর। কর্ণাটকে বিজেপিকে হারাও। প্রয়াত বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক প্রদীপ সরকার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 মার্চ 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ফিরতে পারে ইন্টারভিউ, শিক্ষক নিয়োগে নিয়ম বদলের সুপারিশ এসএসসির
বিস্তারিত খবর:
1. মানহানির মামলায় দু’বছরের কারাদণ্ডের জের। খারিজ হয়ে গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। শুক্রবার সংসদের সচিবালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, বৃহস্পতিবার থেকেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাঁর ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্রটি এখন সাংসদশূন্য। ভারতের জনপ্রতিনিধি আইন মোতাবেক, কোনও সাংসদ যদি যে কোনও অপরাধে দু’বছর বা তাঁর বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, কারাবাসের পর আরও ৬ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না ওই ব্যক্তি। অর্থাৎ উচ্চতর কোনও আদালতে এই রায় বাতিল না হলে ২০২৪ সালের লোকসভার লড়াই থেকেও রাহুল ছিটকে যেতে পারেন। তবে রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছে হাত শিবির।
এদিকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে ফের একজোট বিরোধীরা। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কিন্তু এদিন রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন খোদ মমতা ও অভিষেক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রধান টার্গেট। যেখানে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে বিরোধী নেতাদের স্রেফ ভাষণ দেওয়ার জন্য সাংসদ পদ বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন অবক্ষয়ের সাক্ষী থাকলাম।” বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে মরিয়া বিজেপি, এই মর্মে শাসক দলকে তোপ দেগেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবরাও।
2. বীরভূম জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার পর স্থানীয় নেতানেত্রীদের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা থেকে ব্লক, বীরভূমের সমস্ত স্তরের আড়াইশোর বেশি নেতৃত্বকে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের তরফ থেকে আরও একবার বুঝিয়ে দেওয়া হল, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছে দল। তাই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে কোনও বদল করা হল না শেষ পর্যন্ত। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমের সংগঠনের রাশ নিজের হাতেই রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া জেলার দেখভাল করবেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। জেলার নেতানেত্রীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার ভার বিকাশ রায়চৌধুরীর কাঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও একমাত্র বিকাশকেই দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বারবার মুখ খুলে বিতর্ক তৈরির করার জন্য নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও ভর্ৎসনা করেছেন মমতা, এমনটাই খবর।
প্রায় সাতমাসের বেশি সময় ধরে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূলের দাপুটে নেতা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই অনুব্রত জানিয়েছেন তাঁর পাশে রয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে যেন আরও একবার সিলমোহর পড়ল সে দাবিতেই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।