রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে বিজেপি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুলিশে নিয়োগের ঘোষণা, সিদ্ধান্ত পাহাড়ের পর্যটন নিয়েও। আরও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে বড় নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। পঞ্চায়েত মামলায় ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের। ইপিএফ-এ বাড়ল সুদের হার। মণিপুর ইস্যুতে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র, বিরোধীদের চাপের মুখে জানালেন শাহ। যৌনদৃশ্যে গীতাপাঠের জেরে বিতর্কে নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে বিজেপি। এই মর্মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহরমের সময় যাতে রাজ্যে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সে বিষয়েও আগাম সতর্কবার্তা দিলেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি ছড়াতে পারে। ফেক ভিডিও ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে নারী নির্যাতন নিয়ে দেশজুড়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বাংলার তৃণমূল সরকার মণিপুর ইস্যুতে সরব হতেই পালটা মালদহ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে কোনও বিশেষ ঘটনা কিংবা জায়গার নাম উল্লেখ না করেই মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন মমতা। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি হিসেবে নেতারাও হাজির ছিলেন। তাঁদেরকেও একইভাবে সতর্ক করে দেন মমতা।
এদিকে সোমবারের বৈঠকেই নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশে ২৫০০ জন কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। মালদহে তৈরি হবে গ্রিন বেসড ডিস্টিলারি, দার্জিলিংয়ের নিউ চামটায় তৈরি হবে টি রিসর্ট। দার্জিলিং ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে জমি সমস্যার সমাধান করা হবে। একইসঙ্গে কলকাতার মতো জেলায় জেলায় সাংবাদিকদের জন্য হাউসিং সোসাইটির ব্যবস্থা করছে রাজ্য। যেখানে ১ টাকা সেলামি ও বার্ষিক ১ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ৯৯ বছরের লিজে বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
2. পঞ্চায়েত ভোটের পরেও অশান্তি থামছে না রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ভোট মিটে গেলেও এখনও বাকি বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আরও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, স্পর্শকাতর এলাকাগুলি থেকে কোনও অশান্তির খবর পেলেই সেখানে বাহিনীকে পাঠাতে হবে।
ভোটহিংসার দিকে নজর রেখে আগেই হাই কোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল, কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে আরও ১০ দিন রাজ্যে থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেইমতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বাহিনী রাখার অনুমতি চাওয়া হয় রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সেই ১০ দিনের পর এবার আরও বাড়ল জওয়ানদের থাকার মেয়াদ। বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল উচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, বাহিনীর থাকার মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক। তাঁর দাবি, এখনও যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটছে, তাতে এখনই বাহিনী চলে গেলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। সেই আবেদন মেনে আরও ১০ দিন বাহিনী রাখার পক্ষে মত দিলেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। এই বাহিনী কোথায় থাকবে, তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।