ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর, শুভেচ্ছা জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। ‘অনুষ্ঠান পুরোপুরি সফল’, দাবি বিজেপির। গীতাপাঠের সাফল্য নিয়ে বক্তব্যে বেফাঁস সুকান্ত। তিন বছর পর শান্তিনিকেতনে শুরু পৌষমেলা। পূর্বপল্লির মাঠেই শুরু মেলা, ভারচুয়ালি উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর। বিতর্কের আবহেই সমাবর্তন যাদবপুরে। টেট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা কুণাল-শুভেন্দুর। কুস্তি ফেডারেশনের নতুন কমিটিকে সাসপেন্ড করল ক্রীড়ামন্ত্রক।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার ব্রিগেডে হল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’। এদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। মোট ২০টি আলাদা ভাগে ব্রিগেডকে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য গীতাপাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এদিন ব্রিগেডে ভিড় জমান। গীতাপাঠে অংশ নেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরাও। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তবে, শেষ পর্যন্ত তিনি থাকতে পারেননি।তবে এদিন আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, “লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে আরও জোরদার করবে। দেশের উন্নয়ন-যাত্রার ক্ষেত্রেও যা আবশ্যক। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ সকলের জন্য শান্তি নিয়ে আসুক।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গীতাপাঠ অনুষ্ঠান পুরোপুরি সফল। তবে এর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানান তিনি। তবে, লক্ষ লোক নয় হাজার তিনেক মানুষ সমবেত হয়েছেন বলেই দাবি কুণাল ঘোষের। শুভেন্দুর মন্তব্যের পালটা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “গীতাপাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে আর্থিক অনিয়ম, দলবাজি, তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে। আগে সেসব মেটাক বিজেপি। তারপর অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হবে। আমরা সবাই ‘গীতা’কে সম্মান করি। কিন্তু ৩৭৫০ জন লোক নিয়ে এই লোক দেখানো নাটকের কোনও মানে নেই। লোক হবে না বলেই প্রধানমন্ত্রী নিজে আসেননি।” তিনি বলেন, খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে পারছে না বলেই বিজেপিকে ধর্মের হাত ধরতে হয়েছে। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে একই সুর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমেরও। মন্দির-মসজিদ-গির্জা সবই শ্রদ্ধাযোগ্য, কিন্তু তাতে বেকারত্ব মেটে না। তাই তা নিয়ে রাজনীতি চলে না বলেই সাফ জানিয়েছেন তিনি।
2. গীতাপাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক তরজা। আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন স্বামী বিবেকানন্দ। গীতাপাঠের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে স্বামীজির বাণী টেনে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তাতে বিবেকানন্দকে অপমান করা হয়েছে বলেই দাবি তোলে তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কন্ঠ গীতাপাঠ’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো যারা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।” সুকান্ত অবশ্য সরাসরি বিবেকানন্দের নাম টানেননি। তবে, যে প্রসঙ্গ তিনি তুলে এনেছেন তা বিবেকানন্দেরই বাণী। ফলে এই মন্তব্যে স্বামীজিকেই নাম না করে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূলের তরফে সুকান্তর বক্তব্য X হ্যান্ডলে শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেতা-নেত্রীরা। এই বিতর্কে অবশ্য মুখে কুলুপই এঁটেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।