লোকসভা ভোটের আগেই মিলল বকেয়া। রাজ্যের গ্রামোন্নয়নে প্রায় হাজার কোটি টাকা পাঠাল দিল্লি। কেন্দ্র থেকে দু’দফায় ১৬৪৭ কোটি পৌঁছল নবান্নে। মাটিগাড়া ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। অপরাধীদের এনকাউন্টারের দাবিতে সরব নেতা। সুজিত বসুকে তলব সিবিআই-এর। জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করল বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা। অশান্তির পর প্রথমবার দিল্লিতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ প্রজ্ঞানন্দর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 22 আগস্ট 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাড়ল পুজোর অনুদান, বিদ্যুতের বিলেও বড় ছাড়, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা পেল বাংলা। রাজ্যকে এবার বকেয়ার ৯৯৬ কোটি টাকা পাঠাল কেন্দ্র। এর আগে ৬৫১ কোটি টাকা এসেছিল রাজ্যের তহবিলে। সব মিলিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে এল ১৬৪৭ কোটি টাকা। গ্রামাঞ্চলের উন্নতির জন্যই এই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আর্থিক দিক থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এই অভিযোগে বরাবর সরব হতে দেখা গিয়েছে শাসকদল তৃণমূলকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, প্রাপ্য বকেয়া ঠিকমতো মেটাচ্ছে না কেন্দ্র সরকার, আর সেই কারণেই এ রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে কলকাতায় ধরনাতেও বসেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের পালটা যুক্তি ছিল, রাজ্য বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য ঠিকমতো দেয়নি বলেই বকেয়া রয়েছে টাকা। তবে এবার ধীরে ধীরে সেই প্রাপ্য হাতে পেল রাজ্য। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদলের বিপুল সাফল্য এসেছে। আর তারপরই দিল্লি থেকে পাঠানো এই অর্থ নতুন পঞ্চায়েত বোর্ডের কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চব্বিশের ভোটের আগে রাজ্য সরকার যাতে বঞ্চনা নিয়ে বেশি অভিযোগ করতে না পারে, সেই কারণেই কেন্দ্র তড়িঘড়ি টাকা পাঠাল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
2. মাটিগাড়া ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধীদের শাস্তি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, এই অভিযোগেই এদিন সুর চড়িয়েছেন তিনি। ‘যোগী আদিত্যনাথের মতো এনকাউন্টার করা উচিত অপরাধীদের’, এই দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে স্কুলড্রেস পরা অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধরা পড়ে লেনিন কলোনির বাসিন্দা অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাস। তা নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে এদিন থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ বিজেপি নেতা, কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। ঘটনার আঁচ পড়ে বিধানসভাতেও। দোষীদের শাস্তি চেয়ে শোরগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গটি বিধানসভা অধিবেশনে উল্লেখ করেন। কিন্তু মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে স্লোগান তুলতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শেষ পর্যন্ত বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।