‘সফল’ বিদেশ সফর শেষে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক ও চুক্তি ইতিবাচক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে বসছে সিসি ক্যামেরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে আরও এগোল কেন্দ্র। অধীরকে ছাড়াই ৭ সদস্যকে নিয়ে প্রথম বৈঠক কোবিন্দের। বারাণসী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস মোদির। ফের চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। অশান্তির আবহেও খানিক স্বস্তি মণিপুরে। ১০০ দিন পর ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ১২ দিনের বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নির্ধারিত সময়েই দমদম বিমানবন্দরে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রীর। সঙ্গে ফিরেছেন সফরসঙ্গী শিল্পপতি ও প্রতিনিধিরাও। এবারের স্পেন, দুবাই সফর থেকে ফিরে বেশ খুশি মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমাদের এবারের সফর খুব ভালো হয়েছে। বিদেশে অনেকটা কাজ হয়েছে বাংলার জন্য। এত সফল সফর আগে দেখিনি। আমাদের বিজিবিএস নিয়ে মাদ্রিদ, স্পেন, দুবাইয়ের শিল্পপতিদের সঙ্গে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। তাঁদের আমি আমন্ত্রণও জানিয়েছি।” সফরের সার্থকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ”সফর ইতিবাচক। বড় বড় চুক্তি হয়েছে আপনারা জানেন। খুব ভালো বৈঠক হয়েছে শিল্পপতিদের সঙ্গে। ফিকি ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স বৈঠকগুলোর আয়োজন করেছিল। এত সফল সফর খুব কম দেখেছি। প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁরা এ নিয়ে খুব খুশি।” বাংলায় বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই সফর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, এমনটাই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
2. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে শুরু হল সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ। জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাস এবং হস্টেল মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গায় বসবে সিসি ক্যামেরা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিকেই ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি গেটে দু’টি করে ক্যামেরা বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর। এই ক্যামেরা ৩০ দিনের তথ্য ধরে রাখবে বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, এবার যাদবপুর কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর দাবি, “মেইন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র চলছে, পরিকল্পনা করেই বাধা দেওয়া হচ্ছে কাজে!” উপাচার্যের আরও দাবি, “এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন বড় কোনও মাথা। যে বা যাঁরা ছাত্রদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছেন।” অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউয়ের কথায়, বারবার কোনও কাজ করতে গেলেই তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন উপাচার্য। তাই ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত চললেও এর পরের ঘটনাক্রমের তদন্ত হওয়াও জরুরি বলে মনে করেছেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত বলতে সরাসরি সিবিআই-য়ের নাম উল্লেখ করেননি বুদ্ধদেব।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।