মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর। গুরুত্ব না দিয়ে পালটা কটাক্ষ অভিষেকের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি বিজেপির। শুভেন্দু-সুকান্তদের দিল্লিতে জরুরি তলব কেন্দ্রীয় কমিটির। মণিপুরে হিংসার সঙ্গে বাংলার তুলনা গেরুয়া শিবিরের। মমতার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ পি চিদম্বরমের। মালদহে হিংসার ঘটনায় তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি বিজেপি নেতা, কর্মীদের। একটানা বৃষ্টিতে জেরবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। ট্রায়াল ছাড়াই এশিয়াডে নামার অনুমতি ভিনেশকে।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের সর্বস্তরের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতে বিরোধী দলনেতাকেই পালটা শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ধর্মতলায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতা,কর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রতীকী ঘেরাও’-এর কথা বলেন।
তবে এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ভাষণ’-এর অভিযোগে এফআইআর করেছেন। একইসঙ্গে বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে বিপজ্জনক, প্রাণহানির আশঙ্কা বলেও চিহ্নিত করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক – দু’জনের বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তারই পালটা হিসেবে অভিষেকেরে বক্তব্য, ‘শুভেচ্ছা রইল’। শুভেন্দুর এফআইআর-কে যে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কটাক্ষ করে কার্যত তাই-ই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় কার্যত ভরাডুবি হইয়েছে বঙ্গ বিজেপির। বিধানসভার তুলনায় ভোট কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এই বিরাট ব্যর্থতার পর্যালোচনা করতে এবার দিল্লিতে ডাক পড়ল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সঙ্গে থাকতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু-সুকান্তদের সঙ্গে মূলত পঞ্চায়েতের পর্যালোচনা এবং সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তাছাড়া লোকসভায় যে ৩৫ আসন টার্গেট করেছে বিজেপি, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে লোকসভার কথা মাথায় রেখে এরাজ্যেও মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কাদের মন্ত্রী করা যাবে, কাদের সংগঠনে দায়িত্ব দেওয়া যাবে, সেই নিয়েও শুভেন্দুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন নাড্ডারা। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভরাডুবির পর রাজ্য বিজেপিকে চাঙ্গা করতেই এই আলোচনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।