আইনি জট কাটলেই নিয়োগ নিশ্চিত। প্রাথমিক টেটের আগেই পরীক্ষার্থীদের আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর। পরীক্ষার দিন শহরে চলবে অতিরিক্ত মেট্রো ও বাস। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক SLST আন্দোলনকারীদের। নাম না করে বিকাশকে দুষলেন কুণাল, পালটা বাম নেতারও।লোকসভা ভোটের আগে জোর প্রচারে শান। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে জঙ্গলমহলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও। কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে ফের জোরালো প্রতিবাদ। পদ্মশ্রী ফেরালেন বজরং, বীরেন্দ্র। কংগ্রেসের মদতেই আন্দোলনে কুস্তিগিররা, পালটা ব্রিজভূষণের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আইনি জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে তৎপর রাজ্য সরকার। প্রাথমিক টেটের আগেই পরীক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মামলার ফাঁসে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যাচ্ছে বলেই নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না, এ কথা জানিয়ে তিনি বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করতে চান, পর্ষদও দ্রুত খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে চায়। কিন্তু, আইনি জটিলতা আছে, যেটা আমরা তৈরি করিনি। আমাদের একবার অন্তত সুযোগ দেওয়া হোক নিয়োগ দেওয়ার। তারপর মামলা হোক।”
রবিবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে প্রাথমিক টেট। চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। রাজ্যজুড়ে মোট ৭৭৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন মোট ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, প্রাথমিকের মোট ১১,৭৬৫টি আসন খালি রয়েছে। তবে এই নিয়ে পরপর দুবছর টেট হলেও নিয়োগ করা যায়নি। সেই প্রেক্ষিতেই এবার পরীক্ষার আগেই আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ২৪শে ডিসেম্বর ১০০ মেট্রো বেশি চালানো হবে। পরীক্ষার দিন শহর, শহরতলি এবং জেলাতেও বাড়তি বাস পরিষেবা মিলবে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। সকাল থেকেই মিলবে এই বাড়তি পরিষেবা।
2. চাকরি পাওয়ার পরও কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারছেন না। জট না কাটায় এবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা SLST-র আরেক আন্দোলনকারী পক্ষের পাশে থাকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন SLST-র অধীনস্থ কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। সমস্যার জন্য বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেই নাম না করে দুষলেন কুণাল।
২০১৬ সালে SLST-র কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিভাগে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের নিয়োগের জন্য ১৬০০ শূন্যপদ তৈরি হয়। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশপত্রও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র আর হাতে আসে না চাকরিপ্রার্থীদের। ফলে চাকরিও হয়নি। এর নেপথ্যে আইনজীবীদের ভূমিকাকেই দায়ী করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর ব্যাখ্যা, একেক পক্ষের হয়ে বারবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারিতে এগিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাতেই তৈরি হয়েছে জট। পালটা বিকাশের সাফ কথা, সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুপার নিউমেরিক পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছে, যা আদতে নিয়মবহির্ভূত। সেই কারণেই নতুন নিয়োগ নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ন্যায্য চাকরির জন্য আইনি লড়াইয়ে তাঁরা বিকাশবাবুর আপ্তসহায়ককে ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। যদিও বাম নেতার দাবি, তিনি বিনামূল্যে চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে মামলা লড়েন। সুতরাং টাকা দেওয়ার নথি দেখানো হোক বলেও দাবি বর্ষীয়ান বাম নেতার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।