পরীক্ষা দুর্নীতি রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কেন্দ্রের। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কার্যকর হচ্ছে কড়া আইন। হতে পারে জেল, কোটি টাকা জরিমানাও। নবনির্বাচিত বিধায়কদের ‘অসম্মানজনক’ চিঠি রাজ্যপালের। শপথ পড়াবেন না আনন্দ বোস। সরকারি অফিস শুরুর সময় নিয়ে কড়া কেন্দ্র।দিল্লিতে বৈঠক নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার। তিরন্দাজি বিশ্বকাপে সোনাজয়ের হ্যাটট্রিক মহিলা কম্পাউন্ড দলের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রি, তারপরে প্রশ্ন ফাঁসের জেরে কলেজ শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা নেট বাতিলের পরে মুখ পুড়েছে বিজেপি সরকারের। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রক। ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সির যাবতীয় কার্যক্রম এবং কাজের পদ্ধতি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। সাত সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. কে রাধাকৃষ্ণন, এইমস দিল্লির প্রাক্তন ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বি জে রাও, আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক রামমূর্তি কে, কর্মযোগী ভারতের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ বনসল, আইআইটি দিল্লির ডিন আদিত্য মিত্তল এবং শিক্ষা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল। পরীক্ষা পদ্ধতি, তথ্যের গোপনীয়তা, ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সির কার্যক্রম এবং কর্মপদ্ধতি খতিয়ে দেখে আগামী দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রককে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।
এদিকে এদিনই গ্রেটার নয়ডা থেকে নিট দুর্নীতির সম্ভাব্য মূল পান্ডা রবি আত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার প্রবেশিকা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রুখতে পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস বা উত্তরপত্রে বেনিয়ম করতে গিয়ে যদি ধরা পড়ে, তবে দোষী প্রমাণিত হলে ন্যূনতম ৩ বছর এবং সর্বাধিক ৫ বছরের জেল হতে পারে। দিতে হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা। যদি কোনও নিয়ামক সংস্থা জালিয়াতি সম্পর্কে জেনেও কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেক্ষেত্রে ওই সংস্থার ১ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে। সংস্থার কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে তার সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। উপরন্তু জরিমানা হতে পারে ১ কোটি টাকা।
2. নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ ঘিরে তুঙ্গে রাজভবন-বিধানসভা সংঘাত। শপথ গ্রহণের জন্য নতুন দুই বিধায়ককে আলাদা করে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। তাতে আগামী ২৬ জুন শপথ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “চিঠিতে লেখা রয়েছে, রাজ্যপাল নন, রাজভবন মনোনীত কেউ নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ পড়াবেন। এটা রীতি নয়। আর তাছাড়া শপথ নিয়ে স্পিকারের চিঠির কোনও উত্তর না দিয়ে রাজ্যপাল নিজে বিধায়কদের চিঠি লিখলেন কেন, সেই প্রশ্নও থাকছে।” এই সমগ্র ব্যাপারটিকেই অসম্মানজনক বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এর আগে সায়ন্তিকা ও রেয়াত হোসেনের শপথ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার কোনও উত্তর আসেনি। শনিবার রাজ্যপালের তরফে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে দুই ভাবী বিধায়ককে। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন বরানগরের ভাবী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন ভগবানগোলার রেয়াত হোসেন সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে এবং দলীয় স্তরে আলোচনা করে অনুষ্ঠানে যাওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানালেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।