কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ কমিশনের। পঞ্চায়েতে চাই আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি রাজীব সিনহার। ভোটের আবহে তুঙ্গে কমিশন-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। নিয়ম মানার পরও কেন নিয়োগ নিয়ে জটিলতা? রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। পঞ্চায়েত ইস্যুতে ফের কমিশনকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের। ৮১ ISF প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে প্রশ্ন বিচারপতির। মিনাখাঁ মামলাতেও তোপ কমিশনকে। হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি বাইডেন-মোদি। প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে দেশীয় উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের দিকে নজর বিশ্বের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 19 জুন 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ভোটে অশান্তির অভিযোগ নিজেই দেখবেন রাজ্যপাল, রাজভবনে চালু ‘পিস রুম’
বিস্তারিত খবর:
1. কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই এবার পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখে বাড়তি ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা না করে সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এর আগে প্রতি জেলার জন্য ১ কোম্পানি করে মোট ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তা নিয়েই হাই কোর্টের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, নিরাপদে ভোট করাতে হলে নিদেনপক্ষে ২০১৩ সালের মতো বা তার চেয়ে বেশি বাহিনী চাইতে হবে। এর বিরোধিতায় কমিশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে জল্পনা দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্ধারিত পথেই হাঁটল নির্বাচন কমিশন। এদিকে এদিনই নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বৈঠক সেরেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।
2. রাজভবন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধের আবহেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব সিনহার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সাফ কথা, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠানোর ঘটনা ‘নজিরবিহীন’। এদিকে এদিন এই ইস্যুতে রাজ্যপালের মন্তব্য, ‘বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার’।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি, হাই কোর্টের কমিশনকে ভর্ৎসনা, এসবের মধ্যেই নয়া বিতর্ক উসকে উঠেছে রাজ্যপাল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দ্বৈরথে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদানপত্রে সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও। এই আবহেই পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ বক্তব্য, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার একটি সাংবিধানিক পদ। নিয়োগের ফাইল রাজ্যপাল নিজে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছিলেন। নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছিল। এখন তাঁকে সরাতে গেলে হাই কোর্টের বিচারপতিদের মতো ইমপিচ করতে হবে।” একইসঙ্গে এদিন তিনি দাবি করেন, “এবারের মতো শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন প্রক্রিয়া এর আগে কখনও হয়নি।” যত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক না কেন, লড়ে জিতে নেবেন বলেই বার্তা দিলেন মমতা। নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় রাজ্যপাল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও রাজীব সিনহার পাশেই দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।